নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২০ জানুয়ারি, ২০২২

প্রতিক্রিয়ায় তৈমূর

বহিষ্কৃত হলেও বিএনপির কর্মী হয়েই থাকব

অন্য কোনো দল নয়, বহিষ্কার করলেও বিএনপির ‘কর্মী’ হিসেবে ভবিষ্যতে জনগণের জন্য কাজ করে যাওয়ার কথা বলেছেন তৈমূর আলম খন্দকার। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার পর গত ৩ জানুয়ারি তৈমূরকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন তার প্রাথমিক সদস্য পদ ছিল। গত মঙ্গলবার রাতে তৈমূর ও তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালকে ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত’ থাকার কারণে দল বহিষ্কারাদেশের চিঠি আলাদাভাবে পাঠায়।

গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ নগরীর মাসদাইর এলাকায় নিজ বাসভবনে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা জানিয়ে তৈমূর বলেন, আমাকে পদ থেকে বহিষ্কার করেছে। কর্মী থেকে তো বহিষ্কার করেনি। পদ থেকে বহিষ্কার করলেও দলের কর্মী-সমর্থক হিসেবে কাজ করে যাব। দলের এই সিদ্ধান্তে আমার কারো প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি অনুগত থাকব। সামনের দিনগুলো খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য এবং ইভিএমের বিরুদ্ধে প্রচার করব।

অন্য কোনো দলে যাবেন না জানিয়ে তৈমূর বলেন, অতীতের মতো খেটে খাওয়া মানুষের পাশে থাকব। অন্য কোনো প্ল্যাটফরম না। রাজনীতি করতে গেলে একটা দল থাকতে হয়। কিন্তু পদণ্ডপদবির দরকার হয় না। জনগণের অধিকার নিয়েই রাজনীতি করে যাব।

এ সময় সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন প্রসঙ্গে মেয়র পদের এই প্রার্থী বলেন, ইভিএম মেশিনের ত্রুটির কারণে এই ফল হয়েছে। ইভিএম হচ্ছে ভোট ডাকাতের বাক্স। এ সময় ইভিএমকে সমর্থন না করতে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তৈমূর।

এদিকে, তৈমূর আলম খন্দকার ও এ টি এম কামালকে হঠাৎ বাদ দেওয়ার খবরে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ সিদ্ধান্তে নড়চড়ে বসেছেন বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬৬ হাজারের বেশি ভোটে আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে পরাজিত হন। এতে বিএনপির ইমেজ ক্ষুণœ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় তৈমূরকে এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, জেলার আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এবার তাকে প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও বাদ দেওয়া হলো।

তৈমূরের সঙ্গে বহিষ্কার হওয়া এ টি এম কামাল নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। তিনি ছিলেন তৈমূরের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট। তাকেও প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার স্থলে মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আবদুস সবুর খান সেন্টুকে।

জানা গেছে, দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে কাউকে ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকমান্ড। এর অংশ হিসেবে এ দুই নেতাকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে হাইকমান্ড।?

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close