reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৫ নভেম্বর, ২০২১

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই চ্যালেঞ্জ

সদিচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব। তবে বর্তমানে পৌরসভায় অনেক সংকট রয়েছে, যা পরিবর্তন করা সম্ভব। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চাই সবার আগে। জনগণের সামনে সবকিছু তুলে ধরলে কোনটা খারাপ আর কোনটা ভালো তারা নিজেরাই বলে দেবে। আমার পরিকল্পনা আছে, এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করা। আমার জন্মস্থান যশোরে। সব অলিগলি আমি চিনি। নিশ্চয়ই পরিস্থিতি বদলাতে পারব। পরিচ্ছন্ন, জলাবদ্ধ ও যানজটমুক্ত পৌর শহর গড়ে তোলা, সড়ক উন্নয়ন এবং পৌরবাসীর সুপেয় পানি নিশ্চিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। প্রতিদিনের সংবাদের যশোর প্রতিনিধি এইচ আর তুহিনের সঙ্গে উন্নয়ন ও পরিকল্পনা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ।

যশোর পৌরসভা গঠনের ইতিহাস অতি প্রাচীন। ১৮৬৪ সালে বেঙ্গল কাউন্সিল ডিস্টিক মিউনিসিপ্যাল ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট পাস হলে যশোর পৌরসভা স্থাপিত হয়। ১৯৭৩ সালে জনগণের সরাসরি ভোটে যশোর পৌরসভার প্রথম নির্বাচন হয়। যশোর পৌরসভার আয়তন ১৪.৭২ বর্গকিলোমিটার। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে এ পৌরসভাটি গঠিত। এই ৯টি ওয়ার্ডে ৯ জন সাধারণ আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ৩ জন সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলরসহ ১২ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে যশোর পৌরসভা এলাকার জনসংখ্যা ২,৮৬,১৬৩ জন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনি খান পলাশ জয়ী হন। উন্নয়নের ধারণা আর অপরাজনীতির বাস্তবতা বদলানোর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন যশোরের রাজনীতির খোলনলচে জানা প্রবীণ এই নেতা।

মেয়র বলেন, পৌরবাসীর চাওয়া-পাওয়ার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে যশোরকে আধুনিক পৌর শহরে রূপান্তর করব ইনশাআল্লাহ। সড়কে বসানো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলমান প্রক্রিয়া। শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে পৌর কর্তৃপক্ষ সব সময় সচেতন। নগরবাসীর দুঃখ-কষ্ট যতটা সম্ভব লাঘব করে উন্নয়নের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়াটা আমার কর্তব্য। আমি সবাইকে নিয়ে সেই কাজটাই করার চেষ্টা করছি। নগরবাসীর খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ মৌলিক চাহিদার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে আমি পরিকল্পনামাফিক কাজ করছি। জনগণ এরই মধ্যে সেগুলোর সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। আমার কাছে নগরীর প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা আছে। মাস্টারপ্ল্যানে সেগুলো নিরসনে একে একে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় বয়স্ক, বিধবা, মাতৃকালীন, প্রতিবন্ধী-ভাতা, ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণসহ বিভিন্ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

মেয়র পলাশ বলেন, পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য আমি সবার সার্বিক সহযোগিতা চাই। নির্বাচনের সময় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা আন্তরিকভাবে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি। দল-মত-নির্বিশেষে সব বর্ণের মানুষ যাতে উন্নয়নের সুফল পায় সেই চেষ্টাই আমি করে যাচ্ছি। কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উন্নয়ন প্রকল্প কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পৌরবাসীর কল্যাণে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি।

আগামীকাল পড়ুন

ভেদরগঞ্জ পৌর মেয়রের কথা

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close