নিজস্ব প্রতিবেদক
শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীতে আ.লীগের শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও বনানীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে ধানমন্ডিতে আবাহনী ক্লাব মাঠ প্রাঙ্গণে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলটির নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায়ও শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য কামাল ‘স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী’ও গড়ে তুলেছিলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার যে কলঙ্ক জাতির কপালে কলঙ্ক তিলক হিসেবে ছিল; সেই কলঙ্কের কালিমা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার সম্পূর্ণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আলোর পথে যাত্রা করছেন, সেই আলোর পথের অভিযাত্রী হয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করব আজকের দিনে এটাই অঙ্গীকার।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের গুলি করে হত্যা করা হয়। মাত্র ২৬ বছর বয়সে ঝরে যায় শেখ কামালের জীবন। শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন।
ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন শেখ কামাল। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যও ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ভর্তি হন। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই অ্যাথলেট সুলতানা খুকুর সঙ্গে শেখ কামালের বিয়ে হয়। ১৫ আগস্ট সুলতানাকেও হত্যা করা হয়।
"