নিজস্ব প্রতিবেদক
ভার্চুয়াল সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
করোনা ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন তৈরি করা হবে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা এবং উন্নয়নকাজ চলমান রাখতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন সব প্রতিষ্ঠানের জন্য করোনা ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে চলমান করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, সারা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস খুব তাড়াতাড়ি নিঃশেষ হয়ে যাবে বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে না এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও এ রকম আভাস দিয়েছেন। তাই স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন সিটি করপোরেশন, এলজিইডি, ডিপিএইচই, ওয়াসা, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা পরিষদসহ সব প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রাখতে একটি করোনা ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই গাইডলাইনে করোনা মোকাবিলা করে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বিশেষ করে ইনকাম জেনারেটিং এবং উৎপাদনশীল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা যায় তার পরিকল্পনা সন্নিবেশিত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় বর্তমানে এই কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালীন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখা সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করে তিনি তার মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠানগুলো মহামারিকালীন সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলে মন্তব্য করেন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের যেকোনো দুর্যোগ-দুর্দিন এবং দুঃসময়ে সাধারণ মানুষ তাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পাশে পায়। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের একটি নিবিড় সম্পর্ক এবং যোগাযোগ থাকে। জনপ্রতিনিধিরাই পারে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিতভাবে যেকোনো প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে।
আসন্ন বর্ষা মৌসুম সামনে রেখে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে নগরীর সব ড্রেন ও খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সব মেয়রকে বিশেষ করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মন্ত্রী। নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশন ড্রেন ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিয়েছে বলে সবার ধারণা। তাই এ বিষয়ে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে মেয়রদ্বয়কে পরামর্শ দেন তিনি।
সিটি করপোরেশনের উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন নতুন ইনকাম জেনারেটিং এবং উৎপাদনমুখী প্রকল্প গ্রহণের জন্য সব মেয়রকে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ছাড়াও যদি উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে তার ব্যবস্থার উদ্যোগ তিনি নেবেন বলেও জানান। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়র/প্রতিনিধি অনলাইন মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সভায় সব মেয়র করোনা মহামারিতেও মন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব এবং সবাইকে নিয়ে কাজ করার প্রশংসা করে তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ সময় সিটি করপোরেশনের মেয়ররা চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
"
