প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৬ জানুয়ারি, ২০২১

কৃষক আন্দোলনের পক্ষে নামলেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা

ভারতের কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে এবার রাজপথে নামল বিরোধী দল কংগ্রেস। গতকাল শুক্রবার দিল্লিতে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতারা। এ সময় রাহুল বলেন, মোদি-মায়া শেষ হয়ে গেছে। অবিলম্বে বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। খবর জিনিউজ ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

ভারতের নতুন কৃষি আইনকে কৃষকবিরোধী আইন আখ্যা দিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, এ আইন তৈরিই হয়েছে কৃষকদের শেষ করে দিতে। তিনি বলেন, বিজেপি সরকারকে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিতে হবে। এই তিন আইন না তুলে নেওয়া পর্যন্ত কংগ্রেস থামবে না। এই আইন কৃষকদের কোনো সাহায্য করবে না। তাদের শেষ করে দেবে।

এ নিয়ে এক টুইটেও রাহুল বলেন, মোদি-মায়া শেষ হয়ে গেছে। মোদি সরকারের অহংকারেরও পতন হবে। কিন্তু অন্নদাতা কৃষকদের সংকল্প টলেনি, টলবে না। সরকারে কৃষিবিরোধী আইন প্রত্যাহার করতেই হবে।

রাহুল দাবি করেন, এর আগে মোদি সরকার জমি অধিগ্রহণ আইন এনে কৃষকদের জমি কেড়ে নিতে চেয়েছিল। তখনো কংগ্রেস তাদের রুখে দিয়েছিল। তিনি বলেন, এবার বিজেপি তাদের দু-তিনজন বন্ধুর জন্য কৃষকদের বিপদে ফেলতে নয়া কৃষি আইন নিয়ে এসেছে। ভারতে দুই মাস ধরে কৃষি আইন বাতিলে কৃষক আন্দোলনের মতো জ্বলন্ত ইস্যুতেও কংগ্রেস ততটা আক্রমণাত্মক নয় কেন, এমন প্রশ্ন উঠছিল। অবশেষে সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকে সফল করার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়লেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। গতকাল তারা পালন করলেন ‘কিষান অধিকার দিবস’। শেষবার হাথরাস কা-ে একসঙ্গে আন্দোলনে নামতে দেখা গিয়েছিল দুই ভাইবোনকে।

কৃষকদের সঙ্গে সরকারের ৯ম দফার বৈঠকও ব্যর্থ : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত স্থগিত রয়েছে নতুন কৃষক আইন। জট কাটাতে কমিটি গঠন করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার পরও নবম দফায় কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষক নেতাদের বৈঠকেও সমাধান হলো না কৃষক আন্দোলনের। আগামী ১৯ জানুয়ারি ফের আরো এক দফা আলোচনার দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছে। ওইদিন থেকেই সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করবে। ফলে ১৯ জানুয়ারি বৈঠক হলে, সেটাই কেন্দ্র ও কৃষক নেতাদের মধ্যে হতে পারে শেষ বৈঠক।

দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে ৪০টি কৃষক সংগঠনের নেতারা নবমবারের মতো শুক্রবার বৈঠকে বসেন। কিন্তু আগের আট দফার মতোই বৈঠক ব্যর্থ হয়। কৃষক নেতাদের বক্তব্য, কোনো মধ্যস্থতাকারী নয়, তারা সরাসরি কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে চান। এই সরাসরি বলতে প্রধানমন্ত্রীকেই ইঙ্গিত করেছেন কৃষক নেতারা।

ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত বলেন, সরকার তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরিকল্পনা তৈরি করুক এবং কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা দিক। জট কাটাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close