রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১৯ অক্টোবর, ২০২০

শতবর্ষী জোবেদ এখনো খালি চোখেই পড়েন পত্রিকা

পড়ন্ত বিকালে হঠাৎ দেখা হয় একজন প্রবীণ মানুষের সঙ্গে। তখন তিনি বাড়ির উঠানে বসে খালি চোখে খবরের কাগজ পড়ছিলেন। নাম-পরিচয় জানতে চাইলে বলেন, নাম মো. জোবেদ আলী। ১৯১২ সালে ক্লাস ফাইভ পাস করেছেন। বয়স ১২০ বছরের কম নয়। এই বয়সেও চশমা ছাড়াই রীতিমতো পত্রিকা পাঠ করেন, নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করেন। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার মেকুরটারী গ্রামে।

১০ বছরের আগে কোনো শিশুর পক্ষে সাধারণত প্রাইমারি অতিক্রম সম্ভব হয় না। তখন আরো বেশি বয়সে লেখপড়া শুরু করত শিশুরা। বয়স কত হয়েছে, জানতে চাইলে জোবেদ আলী বলেন, আমার জন্ম ১৯০০ সালের ২৫ অক্টোবর। আমি ১৯১২ সালে প্রাইমারি পাস করি। বয়স এখন ১২০ বছর বা একটু বেশি হবে। জোবেদ আলী এ প্রতিবেদককে জানান, আমি খালি চোখে কোরআন শরিফ পড়ি, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ি, বাজারে একা হেঁটে আসা-যাওয়া করি।

তিনি আরো বলেন, আমার সন্তানসহ নাতি-নাতনির সংখা ৫৫। বয়স্ক মানুষের সঙ্গে কথা বললে ভালো লাগে। বয়স্ক মানুষগুলোর আচরণ হয় শিশুর মতো। এদের কাছে রয়েছে জীবনের অভিজ্ঞতার ভা-ার। একসময় এই প্রবীণরাই ছিলেন সংসারের কর্তা। সংসারের সকল সদস্যের বা সন্তানদের সকল আবদার পূরণ করতেন। তিনিই ছিলেন অভিভাবক।

জীবন স্রোতের দীর্ঘ পথ হেঁটে আসা জোবেদ আলী বড় একা। গল্প করার জন্য খুঁজে বেড়ায় কাছের মানুষ। কিন্তু জাবেদ আলীর সমবয়সি কিংবা কাছের বয়সিরা আর কেউ বেঁচে নেই। এই প্রবীণরা অভিজ্ঞতার ভান্ডার। তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে। তাদের পরিবারের বোঝা ভাবা যায় না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close