আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

করোনার আগের জীবনে ফিরতে লাগবে ২০২২!

করোনাকালের আগের জীবন সহজে ফিরবে না। অন্তত আরো দুই বছর। ২০২২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। তারপর আবার ‘প্রাক-করোনা’ জীবনের কথা ভাবতে পারে বিশ্ববাসী। তার আগে অসম্ভব। জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) চিফ সায়েন্স অফিসার ড. সৌম্যা স্বামীনাথন। সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুমিছিল চলছেই। বাড়ছে ভয়। চলছে টিকার খোঁজ। করোনা দেখা দেওয়ার আগের জীবন আর কী ফিরে পাওয়া যাবে? প্রশ্ন মুখে মুখে।

একই প্রশ্ন ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে। জবাবে স্বামীনাথন বলেন, ‘২০২২ সাল পর্যন্ত ধৈর্য রাখতেই হবে। আশা করা যায় তার মধ্যেই মানুষ টিকা পাবেন। তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে। তত দিন পর্যন্ত মাস্কের ব্যবহার, পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলাফেরা করতে হবে। টিকাকরণ শুরু হলেই হবে না। ৬০-৭০ শতাংশ মানুষের দেহে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। অধিকাংশ মানুষ রোগ প্রতিরোধে সক্ষম হলে তবেই সংক্রমণের হার কমে আসবে।

তা ছাড়া টিকার জোরে কত দিন করোনার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে তাও আমরা জানি না। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কত দিন স্থায়ী হবে? বুস্টারেরও প্রয়োজন হতে পারে। করোনা নির্মূল করা নয়, এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত। কারণ করোনার মূলে রয়েছে এই ভাইরাস। বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, করোনা মৌসুমি ভাইরাস হয়ে থেকে যাবে। তিনিও কি সেটাই ভাবছেন? স্বামীনাথনের সোজা জবাব, না। তিনি সেটা ভাবছেন না। বরং যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে আরো অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মুখোমুখি হতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close