reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৭ অক্টোবর, ২০২২

হার দিয়ে শুরু ত্রিদেশীয় সিরিজ

ছবি: সংগৃহীত

সেই পাওয়ার হিটারের অভাবেই ডুবল বাংলাদেশ। সেই ইমপ্যাক্ট ইনিংসের অভাবের চিত্র করুণভাবে ফুটে উঠল টাইগার শিবিরে। ভারতীয় কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামের অধীনে এখনো উড়িয়ে সীমানা পাড় করা শিখতে পারেনি বাংলাদেশি ব্যাটাররা। টি-টোয়েন্টিতে অপরিহার্য এসব অনুসঙ্গের দুর্বলতায় পাকিস্তানের বিপক্ষে হারল বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২১ রানে হারল টাইগাররা।

প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৫০ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ১৬৭ রান জমা করে স্কোরবোর্ডে। আর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে থামে বাংলাদেশ।

১৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মন্থর শুরুর পর রানের চাকা সচল করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে বেশিদূর এগুতে পারেননি তারা। পাওয়ার প্লে'র ৬ ওভারে আসে ২ ওপেনারকে হারিয়ে ৩৮ রান। দুজনেই শুরু থেকে ধরে খেলার চেষ্টায় ছিলেন। পরে ৪র্থ ওভারে হারিস রউফকে ছক্কা মেরে মিরাজ হাত খুললেও পরের ওভারেই সীমানায় আউট হয়ে ফেরেন তিনি। ৫ম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমকে উড়িয়ে মারেন মিরাজ। ডিপ স্কয়ার লেগে বল তালুবন্দি করেন হাসান আলি। ১১ বলে ১০ রানে সমাপ্তি ঘটে মিরাজের ইনিংসের।

তার আউটের পর ওয়ানডাউনে নামেন লিটন দাস।

মিরাজের পর ৬ষ্ঠ ওভারে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির। হারিস রউফের বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন সাব্বির। মাঝ ব্যাটে খেলতে পারেননি। আগেই ব্যাটের ফেইস আগেই ক্লোজ করে নেওয়ায় কানায় লেগে উঠে যায় উপরে। অনায়াসে ক্যাচ নেন বোলার নিজেই। ১৮ বলে এক চারে সাব্বির করেন ১৪। তার আউটের পর ব্যাট হাতে নামেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।

আফিফকে নিয়ে খেলায় ফেরার চেষ্টা করেন লিটন। দারুণভাবে এগিয়েও যাচ্ছিলেন। কিন্তু দ্রুতই দুটো উইকেট হারিয়ে ফেলায় ছন্দে পতন ঘটল টাইগারদের। মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে দুই রান নেওয়ার পর সিঙ্গেল নেন আফিফ। ৩৯ বলে তার সঙ্গে লিটন দাসের জুটির ৫০ স্পর্শ করে। পরের বলে স্লগ সুইপের চেষ্টায় সীমানায় ধরা পড়লেন লিটন দাস। ২৬ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রান করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।

নতুন ব্যাটার মোসাদ্দেক হোসেন বিদায় নিলেন গোল্ডেন ডাক মেরে। আলগা শটে বলে লাইন মিস করে হলেন এলবিডব্লিউ। তবে নাওয়াজের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দিলেন নুরুল হাসান সোহান।

দুই বলে উইকেটের ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই ফিরে গেলেন আফিফ হোসেন। শাহনাওয়াজ দাহানির বলে মিডউইকেটে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ২৩ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ২৫ রান করেন আফিফ।

খেলার এ পর্যায়ে ১৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর হয় ৪ উইকেটে ৯৯। জয়ে জন্য দরকার পগে ৩৭ বলে ৬৯ রানের। এ সময় ক্রিজে সোহানের সঙ্গী হন ইয়াসির আলি চৌধুরি। কিন্তু শাদাব খানের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হলেন সোহান। শাদাবকে স্লগ সুইপ করে ওয়াইড লং অনে ধরা পড়েন এই কিপার-ব্যাটার। ৯ বল এক চারে তিনি করেন ৮।

ইয়াসিরের সঙ্গী হন তাসকিন। জয়ের জন্য এ সময় প্রয়োজন পড়ে ১৮ বলে ৫৯ রান। সে কথা মাথায় রেখে ১৮তম ওভারে ধানির বলে দারুণ এক ছক্কা হাঁকান ইয়াসির।

শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৪৯ রানের। এ সময় ধুমধাড়াক্কা চার- ছক্কা দেখতে পাওয়ার কথা। কিন্তু উল্টোটাই ঘটল।

১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে তাসকিন ও নাসুমকে সাজঘরে ফেরালেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। মাত্র ২ রানে ফিরলেন তাসকিন। আর নাসুম রানের খাতাই খুলতে পারলেন না। সেই ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

একপ্রান্ত ধরে রেখে খেলে যান ইয়াসির। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৪২ রানের। পরাজয় শুধু সময়ের ব্যাপার। তবে দারুণ দুটি বাউন্ডারি ও এক ছক্কা হাঁকিয়ে পরাজয়ের ব্যবধানকে কমালেন ইয়াসির। ২০ বলে ৩৮ রান করেছেন তিনি।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ত্রিদেশীয় সিরিজ,হার,শ্রীধরন শ্রীরাম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close