চতুর্থবার সাফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন
কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আগে থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা সাফের সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিনের থাকাটা নিশ্চিতই ছিল। শনিবার সাফের কংগ্রেসে চতুর্থবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি।
শনিবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে সাফের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।
চতুর্থবারের মতো সাফের সভাপতি হয়ে আবারও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বছর থেকে নতুন টুর্নামেন্ট হবে সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের মধ্য দিয়ে। আগে প্রতিবার নির্বাচিত হয়েও সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। কিন্তু সেই টুর্নামেন্ট আলোর মুখ দেখেনি।
অনুষ্ঠানে কাজী সালাউদ্দিন ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাফের প্রধানের পদে থাকবেন বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। ২০০৯ সালে প্রথম সাফের সভাপতি হন সাবেক এই ফুটবল অধিনায়ক।
সেই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন আয়োজন করেছে ৬টি সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, মেয়েদের ৫টি সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপসহ বয়সভিত্তিক মিলিয়ে ২৭টি প্রতিযোগিতা।
বিগত সময়ের কাজ নিয়ে খুশি সালাউদ্দিন সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানান। তুলে ধরেন নিজের সময়ের কাজগুলোর সাফল্যও। আড়াল করেননি বৈশ্বিক ফুটবলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার পিছিয়ে থাকার বিষয়টিও।
বাফুফে সভাপতি বলেন, আমরা বিশ্বের সেরা ফুটবল অঞ্চলের মধ্যে নেই, কিন্তু এই অঞ্চলের ফুটবলকে উপরে তুলতে আমাদেরকে একটা পরিবার এবং ভাতৃত্ববোধ নিয়ে কাজ করতে হবে।
সালাউদ্দিন আরও বলেন, ২০০৯ সালে যখন আমি সভাপতি হয়েছিলাম, তখন আমাদের কেবল ছিল সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (ছেলেদের)। কিন্তু এখন আমরা ২৭টি প্রতিযোগিতা করেছি এবং এটা গত বছরগুলোতে আমাদের উন্নতি দেখাচ্ছে।
কংগ্রেসে বাংলাদেশসহ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ভুটান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মালদ্বীপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ‘ভিসা জটিলতা’র কারণে পাকিস্তান এবং নিজেদের ফেডারেশনের সমস্যার কারণে ভারতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন না।