রাজধানীর দক্ষিণখান থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সিন্ধান্তের বাইরে গিয়ে একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশফাকুল ইসলাম সাদ এবং সহসভাপতি রাব্বানীর নেতৃত্বে থানার কয়েকটি ওয়ার্ডে ‘ওয়ার্ড পরিচিত সভা’ করা হচ্ছে!

যদিও এসব অনুষ্ঠানের ব্যনারে সংগঠনটির সাংগঠনিক নেতা-নেত্রী বা জাতীর জনকের ছবি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে এ নিয়ে সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা অস্বস্থি প্রকাশ করেছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা জাতির জনকের ছবি ব্যনারে ব্যবহার না করায় সাবেক নেতাদের অনেকেই মর্মাহত হয়েছেন মর্মে প্রতিবেদককের কাছে আক্ষেপ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে তারা জানান, দক্ষিণখানে এ কেমন ছাত্রলীগ দেখছি আমরা। যারা ওয়ার্ডে মনগড়া পরিচিত সভা করছে! সবছেড়ে দুঃখজনক ব্যপার হচ্ছে, আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বা এর কোন অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের যে কোন পর্যায়ের কমিটিতে কোন অনুষ্ঠান করলে জাতির জনকের ছবি এবং আমাদের সাংগঠনিক নেত্রীর ছবি অবশ্যই থাকে। এটা আমাদের রেওয়াজ।

এখন উনারা কেমন ছাত্রলীগ করছেন প্রশ্ন রেখে সাবেক নেতারা বলছেন, আমরা দক্ষিণখানে এ কেমন ছাত্রলীগ দেখছি, যারা আমাদের আদর্শক সাইডে রেখে নিজের লীগ প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করছে! এ বিষয়ে আমরা সাংগঠনিক সিন্ধান্তের দাবি জানাচ্ছি।

একই বিষয়ে থানার সভাপতি তানভির রিও বলেন, আমাদের সাংগঠনিক সিন্ধান্তের বাইরে গিয়ে এমন সভাগুলো করা হচ্ছে। এগুলোকে আমি দলীয় পোগ্রাম বলতে রাজি নই। যেখানে আমি উপস্থিত নাই বা আমাকে না জানিয়ে এমন লজ্জাজনক পোষ্টার ব্যবহার করে অনুষ্ঠান করা হয়, এটাকে আমি ছাত্রলীগের অনুষ্ঠান বলতে পারি না।

সভাপতির দাবিকৃত ব্যক্তিগত প্রোগ্রামের বিষয়ে কথা বলতে সাধারণ সম্পাদক সাদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রথমে অবান্তর কথা বার্তা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি সামনে এসে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন। আর নিউজ করলে, কোন কথা নাই বলে ফোন কেটে দেন।

উল্লেখ্য দক্ষিণখান থানার নতুন নির্বাচিত এ সাধারণ সম্পাদককে সাবেক এবং বর্তমান কমিটির অনেকেই চিনেন না বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন। তবে এ বিষয়ে থানার সহসভাপতি রাব্বানী প্রতিবেদককে বলেন, সাদ বিমানবন্দর থানায় টুকটাক রাজনীতি করতেন। মূলত তাকে এ থানায় হায়ার করে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন স্থানীয় একজন কাউন্সিলর। নিজের আত্বীয় হিসেবেই সাদকে নিয়ে আসেন আলোচিত এ কাউন্সিলর।

পিডিএসও/এসএম শামীম