
বাখমুতে তীব্র প্রতিরোধের মুখে রুশ সেনারা

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুতে দেশটির সামরিক বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে রুশ সেনারা পিছু হটছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ। একইসঙ্গে মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে এর জন্য মাশুল দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। খবর বিবিসির।
কৌশলগতভাবে পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুত দখলে দ্বারপ্রান্তে থাকার দাবি করে আসছিল রাশিয়া। এমন অবস্থার মধ্যেই বিপরীতমুখী বক্তব্য এলো ইউক্রেনের পক্ষ থেকে। তাদের দাবি, ইউক্রেনীয় সেনাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পিছু হাটছে রুশ সেনারা।
শুধু বাখমুত নয়, দোনেৎস্কেও রাশিয়ার অভিযানের পরিসর কমে এসেছে বলে গণমাধ্যমে খবরে উঠে এসেছে। জনশক্তি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কমে যাওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতি বলে কিয়েভের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
তবে, রুশ সেনারা দুর্বল হয়ে পড়লেও ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার এখনও ধরে রেখেছে নিয়ন্ত্রণ। প্রতিনিয়তই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির সেনারা। যুদ্ধ ক্ষেত্রে সেনাদের দুর্বল হয়ে পড়ার দাবির বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো।
এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আবারও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এর জন্য রাশিয়ার চড়া মূল্য দিতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দোনেৎস্ক থিয়েটারে রুশ বাহিনীর বিমান হামলার এক বছর পূর্তিতে নিহতদের স্বরণ করতে গিয়ে একথা বলেন তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, রুশ বাহিনী হামলা চালিয়ে নিরীহ নারী শিশুদের হত্যা করেছে। এভাবে অসহায়দের হত্যা করে তারা যুদ্ধাপরাধ করেছে। তাদের শাস্তি পেতেই হবে।
এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রথমবারের মতো আগামী সপ্তাহে রাশিয়া সফরে যাবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। শুক্রবার (১৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও চলমান যুদ্ধ বন্ধে দুদেশ সমঝোতায় পৌঁছানোর বিষয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
পিডিএস/এমএইউ