reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৫ অক্টোবর, ২০২২

খাশোগি হত্যা থেকে দায়মুক্তি পেলেন সৌদি যুবরাজ

ফাইল ছবি

সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আর এ কারণে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে তার দায়মুক্তি মিলছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

খাশোগি হত্যা মামলায় যুবরাজকে অভিযুক্ত করার পর বরাবরই তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে এসেছেন। বিভিন্ন দেশের নজরে তিনি ছিলেন এ মামলার অন্যতম আসামি।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোহাম্মদ বিন সালমানের আইনজীবীরা সোমবার (৩ অক্টোবর) মার্কিন আদালতকে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্রাউন প্রিন্সের নিয়োগ তার দায়মুক্তি নিশ্চিত করেছে।

২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাশোগিকে হত্যা করে সৌদি এজেন্টরা। তদন্তে উঠে আসে মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

সৌদি যুবরাজ প্রথমে খাশোগির হত্যার সাথে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। তবে পরে স্বীকার করেন, বিষয়টি তার জ্ঞাতসারেই সংঘটিত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টির জন্য তাকে দায়ী করে আসছিল।

যুবরাজের আইনজীবীরা মার্কিন আদালতকে বলেন, মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হোক। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের আইনেই বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য দায়মুক্তির বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত জুলাই মাসে জ্বালানি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি যুবরাজের সাথে সাক্ষাতের সময় তাকে খাশোগি হত্যার জন্য দায়ী করেন।

জবাবে যুবরাজ মোহাম্মদ এ হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়েছে।

মার্কিন আদালত যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয়কে যুবরাজ মোহাম্মদের দায়মুক্তি রয়েছে কি না ৩ অক্টোবরের মধ্যে সে মতামত জানাতে বলেছিল। তবে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যুবরাজের নিয়োগের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে বিচার বিভাগ আরও ৪৫ দিন সময় প্রার্থনা করে।

উল্লেখ থাকে যে, ওয়াশিংটন পোস্টের কলামে খাশোগি যুবরাজের নীতির কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল। তুর্কি নাগরিক হেতিস চেঙ্গিজকে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ওই কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন তিনি।

এ হত্যাকোণ্ডের বিচার পেতে সৌদি যুবরাজ ও তার ২০ সহযোগীকে আসামী করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, মোহাম্মদ বিন সালমান ও তার সহযোগীরা খাশোগিকে স্থায়ীভাবে চুপ করিয়ে দিতে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
খাশোগি,সৌদি সাংবাদিক,যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান,সৌদি কনস্যুলেট
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close