reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরতে ভয় পাচ্ছে আফগান নারীরা

ছবি : সংগৃহীত

বুধবার আফগানিস্তানে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়েছে তালেবানরা। এরপর থেকেই কিছু ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে নারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা খুবই কম।

রানা নামের একজন শিক্ষার্থী বিবিসিকে বলেন, আমার খুবই ভয় লাগছিল। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছলাম তখন দেখলাম একজন তালেবান সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পাহাড়া দিচ্ছেন। কিন্তু সে আমাদের বিরক্ত করেনি।

আগের তুলনায় এখন সব কিছুকেই শান্ত মনে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুরুষ শিক্ষার্থীরা ক্লাসে সামনের সারিতে বসে এবং নারী শিক্ষার্থীরা তাদের পেছনে বসে। এ গেল কান্দাহার বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা।তবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছেলে মেয়েদের আলাদা রুমে বসানো হয়। হেরাত শহরের একজন ছাত্রী বিবিসিকে বলেন, তাকে ৪ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকতে বলা হয়েছে। বাকী সময় পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দৈনন্দিন জীবনের উপর বেশ কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। আর এ সব বিধি নিষেধ নারীদের ক্ষেত্রে বেশি।

বিশ্বে আফগানিস্তানই একমাত্র দেশ যেখানে লিঙ্গ ভেদে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আর এটা তালেবানের বৈধতা পাওয়ার জন্য অন্যতম অন্তরায়।

মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা বাতিল করে দেয় তালেবান। এছাড়া নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নারীদের কর্মক্ষেত্রে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে।

নারীদের হিজাব পড়তে বলা হয়েছে। যদিও ১৯৯০ এর দিকে ক্ষমতায় থাকাকালীন নারীদের ছোট রোবকা পড়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।

দেশটিতে তালেবান সরকার গঠিত হওয়ার পর নারী শিক্ষার বিষয়ে ইতিবাচক মতামত প্রদান করেছে। এছাড়া তাদের শিক্ষাব্যবস্থা ইসলামি কেন্দ্রীক হবে বলে জানিয়েছে এবং নারীদের হিজাব পড়াকে বাধ্যতামূলক করেছে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আফগানিস্তান,তালেবান,কান্দাহার বিশ্ববিদ্যালয়
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close