ভারতে করোনা টিকা নেওয়া ৫১ জনের শরীরে জটিলতা
ভারতে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা গ্রহণ করা ৫১ ব্যক্তির শরীরে সামান্য জটিলতা (পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া) দেখা দিয়েছে।
শনিবার থেকে দেশটিতে ব্যাপক করোনা প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জেইনের উদ্ধৃতি দিয়ে এনডিটিভি রোববার জানিয়েছে, দিল্লিতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন অভিযানে ৪ হাজার ৩১৯ স্বাস্থ্য পরিচর্যা কর্মীকে করোনার টিকা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে একজনের শরীরে ‘সামান্য গুরুত্বের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া’ দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, এই রোগীকে অল-ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স (এআইআইএমএস)- এ ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার ৫১ জনের শরীরে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং একজনের অবস্থা কিছুটা গুরুতর। এই রোগীর বয়স ২২ বছর। তিনি একটি হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী।’
‘বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। তাদের কিছু সময়ের জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল’ যোগ করেন মন্ত্রী।
এদিকে, ছয়টি কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হয়। যদিও এটি এখনো ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে।
ভারতের ড্রাগ রেগুলেটর (ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ) জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের ব্যবহারটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে থাকবে। এর অর্থ সকল টিকা গ্রহণকারীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ড্রাগ রেগুলেটর প্রতিষ্ঠানটি কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন দিয়েছে।
দিল্লির করোনাবিরোধী টিকা দানকারী অভিযানের প্রথম দিনে ৮ হাজার ১১৭ স্বাস্থ্য কর্মীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু শহরের ৮১টি টিকাদানকারী কেন্দ্রে এর মাত্র অর্ধেক সংখ্যক লোককে টিকা দেওয়া হয়েছে।
এই অল্পসংখ্যক টিকা দেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে প্রায় অর্ধেক টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি স্থানেই অর্ধেকের কাছাকাছি টিকাদান করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মানুষ শেষ মুহূর্তে টিকা গ্রহণ করতে আসেননি। তারা কেন আসেননি, তা অনুমান করা সম্ভব নয়।’
পিডিএসও/ জিজাক