সারাদেশে তাপমাত্রা আরও কমেছে। ফলে ক্রমেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। পৌষের দ্বিতীয়ার্ধে এসে সারাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্য প্রবাহ এখনও অব্যাহত রয়েছে। আর সেই কারণে দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের উপর দিয়ে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে আজ রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের বাকি অংশ এবং শ্রীমঙ্গল ও সীতাকু- অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে। দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়।

এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকবে বলে অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝরি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে একটি মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা তীব্র (৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং ২-৩টি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আজ সকাল ৯টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি, রাজশাহী ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি, ঈশ্বরদী ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং চুয়াডাঙ্গায় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পিডিএসও/মুস্তাফিজ