রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) একবেলা খাবারের আয়োজন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে শর্তের বেড়াজালে এই খাবার সংগ্রহ থেকে বঞ্চিত হয় অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। আবাসিক-অনাবাসিক ওপর নির্ভর রাষ্ট্রীয় দিবস পালনকে ‘শেণি বৈষম্য’ উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে সংগঠনটির প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক ফাহির আমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে শিক্ষার্থীদের সমানভাবে উদযাপনের সুযোগ দিতে না পারার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেবর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে তারা। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বিদ্যাপীঠে ১৭টি আবাসিক হল থাকলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হলের আবাসিকতা প্রাপ্তির অধিকার হতে বঞ্চিত হয়ে আসছে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত একবেলা খাবারে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা প্রতিবছরের মতো এবারও বঞ্চিত হয়েছে।

• আবাসিক-অনাবাসিক ওপর নির্ভর রাষ্ট্রীয় দিবস পালনকে ‘শেণি বৈষম্য’ উল্লেখ
• শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার ঘটনায় শ্রেণি বিভক্তি ও বৈষম্য বাড়াবে মন্তব্য সভাপতির

অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার ঘটনা শ্রেণি বিভক্তি ও বৈষম্য বাড়াবে বলে মন্তব্য করেন স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব। তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের অধিকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও উক্ত আয়োজনে অংশ নেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেই খাবার হতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এফ আর এম ফাহিম রেজা বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ সাম্য ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অন্তরায়।

এর আগে, দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই বিশেষ খাবার সর্বজনীন না করায় তা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সাতটি ছাত্রসংগঠন।

পিডিএস/আরডি