ইবি প্রতিনিধি

  ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শীত শেষেও ইবিতে দেখা মেলেনি অতিথি পাখির 

শীত শেষ হলেও ইবিতে দেখা মেলেনি অতিথি পাখি।ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

প্রতিবছর শীতের শুরু হলেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রকার অতিথি পাখির দেখা মেলে। এ ক্যাম্পাসের পাখি চত্বর ও মফিজ লেকের আশপাশের খোলা জায়গাকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিতো শীতের অতিথি পাখিরা। তবে অতিথি পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছর আগে প্রচুর অতিথি পাখির আনাগোনা থাকলেও এ বছর শীতের শুরু থেকেই কোনো অতিথি পাখির দেখা মেলেনি। ক্যাম্পাসে বহুতল ভবন তৈরির শব্দ, পানির গুণগত মান নষ্ট হওয়া এবং লেকে সুয়ারেজ সিস্টেম না থাকার কারণে পাখিগুলোর আবাসস্থল সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে গত কয়েকবছর ধরে অতিথি পাখিরা ক্যাম্পাস বিমুখ করেছে।

বিগত বছরগুলোর অতিথি পাখির আশ্রয়স্থলগুলো ঘুরে দেখা যায়, লেকের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৭ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের আওতায় ১০তলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণ চলছে। এতে ব্যবহৃত উন্নত মানের মেশিনের উচ্চশব্দ, শ্রমিকদের উপস্থিতি এবং আশপাশের গাছগুলো নিধনের কারণে পাখিদের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া, পানিবিহীন লেকে জমে রয়েছে বিভিন্ন আবর্জনা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদরা বলেন, ক্যাম্পাসে গত দুই বছর কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে। এতে অনেক গাছ কাটা পড়ল। এছাড়া, যে লেক রয়েছে সেটিও কৃত্রিম। ফলে অতিথি পাখিরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে আসে সেই জায়গাটিই তাদের জন্য প্রতিকূল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত অতিথি পাখি সংরক্ষণের উদ্যোগ না নিলে তাদের আর দেখা মিলবে না। প্রতিবছর অতিথি পাখি এলে তাদের কলকাকলিতে মুখর হতো ক্যাম্পাস। এ বছর পাখিদের কোনো কলকাকলি না থাকায় কিছুটা উদাস শিক্ষার্থীরাও।

ভূমি ও আইন ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল আলম বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ করে মফিজ লেকে অতিথি পাখি শূন্য পরিবেশ যতটুকু না জলবায়ু পরিবর্তন দায় তার চেয়ে বেশি মনুষ্য সৃষ্টি অবকাঠামোগত উন্নয়ন। সবচেয়ে প্রধান বাধা মফিজ লেকের পাশে নির্মাণাধীন কাজ। দ্বিতীয়ত পর্যাপ্ত পানিসহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব।

কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী অমিন্তা বলেন, গতবছরও অতিথি পাখি দেখতে পেয়েছিলাম। মূলত লেকগুলো পরিষ্কার না করায় খাবারের সংকট হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সভাপতি ইনজামুল হক বলেন, ঋতু বৈচিত্র্য ও শিকারের কারণে দেশে অতিথি পাখির সংখ্যা কমেছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, মেগা প্রকল্পের আওতায় যে গাছগুলো কাটা হয়েছিল তা লাগানো হয়েছে। আশা করছি, পরবর্তী বছর গুলোতে এই সমস্যাটা থাকবে না। এস্টেট, ইঞ্জিনিয়ারিং সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনাও দেীয়া হয়েছে। এছাড়া লেকটিতে সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ ও বিদ্যমান, পাশেই কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে। যার ফলে এই সমস্যাটা হয়েছে।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ইবি,অতিথি পাখি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close