বহিরাগত ও ছিনতাইয়ের উৎপাত ঠেকাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সাথে সংশ্লিষ্ট সকল পরিবহনে বিশেষ স্টিকার ব্যবহার করার নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নির্দেশনা জারির পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিশেষ এ স্টিকার সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে ৮ শতাধিক পরিবহনে এ স্টিকার লাগানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশ পরিবহনে বিশেষ এ স্টিকার লাগানো রয়েছে। এমনকি বাদ যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল-সাদা বাসগুলোও। তবে এখনো অনেক পরিবহন এ স্টিকারের আওতায় আসেনি।

প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের ২১০টি মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়েছে, শিক্ষককের গাড়ি ও মোটরসাইকেল ২৫০, কর্মকর্তা-কর্মচারী গাড়ি ও মোটরসাইকেল ২৫৫, সহায়ক কর্মচারী মোটরসাইকেল ৪৭, সাধারণ কর্মচারী মোটরসাইকেল ৭০, রাবির স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিবহনে ৫। সব মিলিয়ে ৮ শতাধিক যানবাহন বিশেষ স্টিকারের আওতায় এসেছে।

৫০ টাকা মূল্যের ওই স্টিকার সংগ্রহ করতে হচ্ছে প্রক্টর কার্যালয় থেকে। স্টিকার সংগ্রহকারীকে অবশ্যই তাদের আইডি কার্ড ও গাড়ির বৈধ কাগজপত্র দৈখিয়ে স্টিকার সংগ্রহ করতে হচ্ছে। স্টিকারে প্রত্যেকের জন্য স্বতন্ত্র নম্বর দেওয়া রয়েছে। যার ফলে একজন চাইলেই দুটো স্টিকার সংগ্রহ করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক জানান, বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবহন এ স্টিকারের আওতায় এসেছে। এ সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবহনে স্টিকার লাগানো থাকলে আমাদের গার্ডরা দেখলে তাদেরকে সহজেই শনাক্ত করতে পারেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আমরা ছিনতাই ঠেকানোসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ সুন্দর করতে পারবো। অধিকাংশ সময় দেখা গেছে বহিরাগত মোটরসাইকেল আরোহীরা বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। ফলে ক্যাম্পাসে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এখনো যারা বিশেষ স্টিকারের আওতার বাইরে রয়েছেন তাদের দ্রুত বিশেষ স্টিকার সংগ্রহ করার পরামর্শ দেন তিনি।

পিডিএসও/এমএ