মোয়াজ্জেম আফরান, শাবিপ্রবি
সাজোয়া যানসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
উপাচার্য পদত্যাগ না করলে ক্যাম্পাস ছাড়বেন না শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।
অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা ও আবাসিক হল বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার পাশাপাশি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি চাইছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে ‘প্রধান হুকুমদাতা’ উল্লেখ করে তার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাস না ছাড়তে অনড় রয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার পর ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পাঁচটি আবাসিক হল থেকে মিছিল সহকারে ক্যাম্পাসে গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ করছেন তারা।
অন্যদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সাজোয়া যানসহ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বেলা ১২টা) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
রবিবার শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। একইসাথে আজ বেলা ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাত থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনার বিচার ও উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বিকেল ৩টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশ ২৭টি রাবার বুলেট ও ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিপেটা করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে উপাচার্যকে মুক্ত করে তার বাসভবনে নিয়ে আসে। পুলিশের গুলি, লাঠিপেটা ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় ১৫ জন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য, ১০ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী মোট ৩০ জন আহত হন।
বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি ও অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। গতকাল চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে বিকেলের পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস।