সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের বিরূদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। অভিযুক্ত শিক্ষিকার স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে আবারও আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা।

গত বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনায় গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলীর কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) বিকাল চারটার দিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকার ধানমন্ডিস্থ আবাসিক ভবনের কার্যালয়ে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। টানা তিন ঘণ্টা সভা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাত সাড়ে সাতটার দিকে তা শেষ হয়।

এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফের অনশন শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া আবু জাফর হোসাইন।

এ শিক্ষার্থী বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমাদেরকে জানানো হয় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সিন্ডিকেট সভা মুলতবি করা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর আমরা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে ফোন দেই। তিনি আমাদের জানান, ‘আজ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। তোমরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে আসো। আমরা আবার সিন্ডিকেট সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’ তখন আমরা আগামীকালই সিন্ডিকেট সভা বসবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপাতত এক মাসের মধ্যে এ সভা করার সম্ভাবনা নেই।’

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, সিন্ডিকেট সভার প্রতি সম্মান দেখিয়ে সব ধরনের আন্দোলন স্থগিত করেছিলাম। যেহেতু এর সমাধান হয়নি তাই রাত আটটা থেকে আবারও আমরণ অনশনে বসেছে শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফ -এর মোবাইলে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।