চবি প্রতিনিধি
চবির ৩৬০ কোটি টাকার বাজেট পেশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে পাঁচ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এ খাতে গত বছরের তুলনায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা বাবদ এবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ৬৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৭ হাজার ৪৮৩ জনের বিপরীতে ২০২১-২২ অর্থবছরে শিক্ষার্থী প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৪৬ টাকা।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩তম বার্ষিক সিনেট সভায় বাজেট পেশ করেন সিনেট সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান।
এবারের ৩৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেটের বিপরীতে মোট প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৩৫১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ২০০ কোটি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে প্রাপ্তি ৩৩১ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
ঘাটতি ধরা হয়েছে আট কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
সভাপতির ভাষণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯টি অনুষদ,৬ টি ইনস্টিটিউট, ৪৮ টি বিভাগ, ৫টি গবেষণা কেন্দ্র ও ১৪ টি হল রয়েছে। মোট শিক্ষার্থী ২৭,৪৮৩ জন, মোট শিক্ষক ৮৮৫, কর্মকর্তা ৩৬৭ ও কর্মচারী ১০৫৬ জন। এসময় উপাচার্য গত অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গবেষণা, অর্জন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বেগম রোকেয়া পদক অর্জন ও করোনা বিপর্যয়কালে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
সিনেটে প্রশ্নোত্তর ও আলোচনায় অংশ নেন সিনেট সদস্য সাংসদ ওয়াসিকা আয়শা খান ও নজরুল ইসলাম চৌধুরী, রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি শ. ম. নজরুল ইসলাম ও ড. মোহাম্মদ মঞ্জুর উল আমিন চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) আফতাব হাসাইন প্রামাণিক (অনলাইন যুক্ত), বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা, বিসিএসআইআর-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শেখ আফতাব আলী (অনলাইনে যুক্ত), সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. খোন্দকার মোকাদ্দম হোসেন, নজরুল ইসলাম, প্রফেসর মনসুর উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী, এস এম ফজলুল হক, প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ, প্রফেসর ড. মো: সেকান্দর চৌধুরী, ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক, প্রফেসর ড. মো: মাহবুবুর রহমান, ড. মোহাম্মদ মঞ্জুর-উল-আমিন চৌধুরী, প্রফেসর ড. এম এ গফুর, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন শাহ্ আলম নিপু, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, প্রফেসর এ বি এম আবু নোমান এবং প্রফেসর আবু মুহাম্মদ আতিকুর রহমান।
বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক অবকাঠামোসহ শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়ন, রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট নির্বাচন, ট্রেন চালু ও শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।