নিজস্ব প্রতিবেদক
বিজিবির অভিযান
গেল বছরে ১২১৭ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ২০১৭ সালে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) অভিযান চালিয়ে মোট এক হাজার ২১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার বিজিবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জব্দ মাদকের মধ্যে এক কোটি ৫৫ লাখ ৭১ হাজার ১৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, এক লাখ ৪০ হাজার ৬০৮ বোতল বিদেশি মদ, ১৪ হাজার ১৪৬ লিটার বাংলা মদ, ৪৯ হাজার ৬৫০ ক্যান বিয়ার, তিন লাখ ২৮ হাজার ৬৮৯ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ হাজার ৩৫৭ কেজি গাঁজা, ৪৪ কেজি ৩২৪ গ্রাম হেরোইন, নেশাজাতীয় ইনজেকশন ২৮ হাজার ২৮০ এবং এক কোটি ৬৭ লাখ ৪৫ হাজার ২৫১টি অন্যান্য ট্যাবলেট রয়েছে।
জব্দ চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে দুই লাখ ৫৩ হাজার ৯০৮টি শাড়ি, ৫০ হাজার ৫৯০টি থ্রিপিস/শার্ট পিস, ৪৭ হাজার ১৩ মিটার থান কাপড়, ১৮ হাজার ৪০১টি তৈরি পোশাক, দুই লাখ ৪২ হাজার ৫৬০ সিএফটি কাঠ ও ৪২ কেজি ১০৬ গ্রাম স্বর্ণ। একই সময়ে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৬৫টি পিস্তল, ৪৮টি বন্দুক, ৩০০ গুলি, ৬১টি ম্যাগাজিন এবং একটি রিভলবার।
বিজিবির অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই হাজার ৬৮৯ জন এবং অনুপ্রবেশের দায়ে এক হাজার ১১৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়া মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটি সেনাবাহিনীর অত্যাচার, নির্যাতন ও জাতিগত নিধন কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশ করে। বিজিবি প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয়, নিরাপত্তা সহায়তা, সীমিত মেডিক্যাল সহায়তা দেওয়াসহ বাংলাদেশে আশ্রয় শিবিরে স্থানান্তর এবং রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
২০১৬ সালে বিজিবির অভিযানে ১১৬১ কোটি ৬৭ লাখ ১৭ হাজার মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ হয়েছিল।
পিডিএসও/তাজ