কেন্দুয়া(নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

  ০৬ মে, ২০২০

এলাকায় করোনা রোগী শনাক্ত, উধাও চেয়ারম্যান

করোনাকালে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও সকল জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মকর্তাদের এলাকায় থাকা বাধ্যতামূলক করে দেয় সরকার।

কিন্তু নেত্রকোনা কেন্দুয়ার দলপা ইউনিয়নে করোনা রোগী শনাক্ত হতেই ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান খান পাঠান ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে সরকারি বেসরকারি সকল সূত্রে জানা গেছে।

এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে জনগণের ভোটে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও নির্বাচিত হয়েছেন যিনি এমন একজন জনপ্রতিনিধি কি করে দেশের ক্রান্তিকালে এলাকা থেকে দূরে থাকেন।

জানা গেছে, জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি এলাকায় নেই। উনার ঢাকাস্থ নিজ বাসায় তিনি অবস্থান করছেন।

এদিকে রোগী শনাক্তের পরই ওই ইউনিয়ন ১১ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সভায় আলোচনাও উঠে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইউনিয়নের একজন মেম্বার জানান, আমরা মেম্বাররা এলাকায়ই থাকতে হয় বাধ্যতামূলক। যারা ভোট দেন তাদের সমস্যা মাথায় রেখেই আমাদের চলতে হয়।

দুর্যোগকালীন সময় হলে তো আরো বেশি সোচ্চার থাকা লাগে। ভালো করলেও কথা শুনি মন্দ করলেও কথা শুনি।

চেয়ারম্যানকে তো আর আমরা কিছু বলতে যেতে পারি না।

ইউপি সচিব আনোয়ার হোসেন জানান, ঠিক তারিখটা তিনি বলতে পারছেন না তবে এপ্রিলের শেষের সপ্তাহে হবে। এতে কাজের কোন সমস্যা হচ্ছে না। তাছাড়া চেয়ারম্যান আমাদের সাথে মোবাইলে দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। উনি যাওয়ার পর বরাদ্দ আসেনি। তাই আমরা ৬৫১ জনের তালিকা করছি।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজিম উদ্দিন জানান, করোনার প্রথমদিকে একটি জানাযায় আমার সাথে দেখা হয়েছিলো চেয়ারম্যানের। এ যাবৎকাল আর দেখা হয়নি। তবে এসকল বৈশ্বিক দূর্যোগ মূহুর্তে জনগণের পাশে থাকাই একজন জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব এবং উচিৎ বলে আমি মনে করি।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান খান পাঠানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সকলেরই তো পরিবার রয়েছে। কাজ তো থাকতেই পারে। আমি বাড়ি নেই এইটা অন্যরা বললেই তো হবে না।

তাছাড়া আজই আসছি রাস্তায় আছি। কাল তো ভিজিডির চালও দিবো লিষ্ট হয়েছে। কয়দিন পূর্বে গিয়েছেন জানতে চাইলে বলেন হবে কয়েকদিন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রুহুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, লিখিত দেননি। তবে আমাকে মোবইল ফোনে জানিয়েছিলেন ইউনিয়নটি লকডাউনের পূর্বেই।

সরকারি নিয়মে ষ্টেশন লিভ করার কোন সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি। এরপরও কিভাবে গেলেন চেয়ারম্যান এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি ইউএনও।

তবে তিনি বলেন, ফোনে আসতে বলছি বারবার। আসবেনও জানিয়েছেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কেন্দুয়া,করোনা রোগী,উধাও,চেয়ারম্যান
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close