নীলফামারীতে গত ২৪ ঘণ্টায় বিদেশ ফেরত নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন ৩২ জন। এ নিয়ে জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২০ জনে। এর মধ্যে উত্তর ইপিজেডে কর্মরত চীনা নাগরিক রয়েছেন ১৫ জন।

শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বিদেশ ফেরত নতুন করে আরো ৩২জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলায় বর্তমানে ১২০জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। অপরদিকে জেলায় ৪০ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন সর্ম্পূণ হয়েছে। তারা সকলে সুস্থ্য আছেন।

সুত্র মতে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে জেলা সদরে ২৬জন, ডোমার উপজেলায় ২৪ জন, ডিমলা উপজেলায় ১৬ জন, জলঢাকা উপজেলায় ২০ জন, কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ১০ জন, সৈয়দপুর উপজেলায় ৯ জন এবং জেলা সদরে অবস্থিত উত্তরা ইপিজেডে চীনা নাগরিক ১৫ জনসহ ১২০ জন।

এছাড়াও করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ২৫০ শয্যার নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের ১৪টি কক্ষে ৫৮টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিয়ম কেউ না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রস্তুতি মুলক কর্মসুচীর অংশ হিসেবে নীলফামারীর বিনোদন কেন্দ্র বিন্ন্যাদিঘি (নীলসাগর) বন্ধ ঘোষণা ছাড়াও জনসমাগম ঘটে এমন সব অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এছাড়া কোথাও কোচিং সেন্টার চালু থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও হুশিয়ারী দেয়া হয়। বিশেষ করে প্রতিটি এলাকায় দ্রব্য মুল্যের উর্দ্ধগতি ঠেকাতে সার্বক্ষনিক কাজ করবে মোবাইল কোর্ট।

অন্যদিকে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভা, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, স্কাউটস, বিএনসিসি, আনসার বাহিনী লিফলেট বিতরণ করছে। পাশাপাশি গুজবে কান না দেয়াসহ মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। জেলা তথ্য অফিসের পক্ষে বিভিন্ন এলাকা, হাট-বাজারে মাইকিং ও জনসচেতনতা প্রচার করা হচ্ছে।