গাইবান্ধা প্রতিনিধি
ছেলের জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে মায়ের সংবাদ সম্মেলন
জেলা শহরের পলাশপাড়ার প্রয়াত হাছেন আলীর জমি তার একমাত্র পুত্র হাবিবুর রহমান অংশীদার বিধবা মা এলিজা বেওয়া ও অসহায় বিবাহিত ৪ বোনকে বঞ্চিত করে তাদের অংশ আত্মসাৎ করে। শুধু তাই নয়, তাদের উপরে দিনের পর দিন শারীরিক অমানুষিক নির্যাতন এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলা দায়েরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে বুধবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ প্রতিকারের দাবি জানিয়েছেন মা এলিজা বেওয়া ও তার ৪ মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে বিধবা মা এলিজা বেওয়াসহ উপস্থিত ছিলেন তার ৪ মেয়ে হাছনা হেনা শিপন, শামছুন্নাহার তুহিন, মাহমুদা শরিফা ও খাদিজা সম্পা। উল্লে¬খ করা হয়, পৈত্রিক জমি দখলের অসৎ উদ্দেশ্যে হাবিবুর রহমান মা ও ৪ বোনের নামে এডিএম কোর্টে বসতবাড়ী জমি নিয়া মিথ্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলা সুত্রে জানা যায়, হাবিবুর রহমান তার নিজ নামে গাইবান্ধা শহরস্থ বসতবাড়ী ও শহরস্থ অপর জমিসহ ৩টি জাল দলিল সৃজন করে। ফলে দলিল নং-৩২২৬/৯৭, ১৯.৫ শতাংশ ও কবলা দলিল নং- ৮২১৭/৯৮, ১৮ শতাংশ এবং উত্তর হরিনসিংহার (তিন গাছতলা) হেবাবিল দলিল নং-৩২৮২/৯৬, ৪৭ শতাংশ, মোট=৮৪.৫ শতাংশ জমির বিরুদ্ধে আদালতে ২টি মামলা দায়ের করি। যার নম্বর-৬/১৪ ও ১৬০/১৪ (অন্য)। ৬/১৪ নং মামলাটি চলমান রয়েছে। ৩২৮২/৯৬ দলিল মূলে ৪৭ শতাংশ জমি বেসরকারি সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশনকে ১২/০১/২০১০ইং তারিখে হাবিবুর রহমান ১টি দলিলের মাধ্যমে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। যার নং-৩৯৯। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত ১৬০/১৪ (অন্য) মামলায় গত ১৩/০৫/৯৬ইং তারিখের ৩২৮২/৯৬ নং হেবাবিল এওয়াজ দলিলটি যোগসাজশী মর্মে রায় ও ডিক্রি ঘোষনা করে।
পরে আমরা হাবিবুরের নামে একটি প্রতারনা ও জালিয়াতির মামলা দায়ের করি। এই মামলায় হাবিবুর রহমান জামিনে আছেন। এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে হাবিবুর ও হাবিবুরের স্ত্রীসহ বাদী হয়ে হয়রানী মূলক একাধিক মামলা করে। বিষয়টি পৌর মেয়রকে লিখিতভাবে অবগত করিলে পৌর মেয়রসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের উপস্থিতিতে দুই পক্ষকে ডেকে সমাধান করে দেয়। যেন কোন পক্ষেই নতুন করে কোন মামলা না করে বরং সব আগের মামলা যেন তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু পৌর মেয়রের সিদ্ধান্ত অবমাননা করে লিখিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নতুন করে আমিসহ ও আমার মেয়ে ও মেয়ে জামাইদেরকে আসামী করে হাবিবুর মামলা দায়ের করে যা পিবিআই অফিসে এস আই জাকারিয়ার কাছে তদন্তাধীন আছে। মামলা নং-৫৩০/১৭।
উল্লেখ্য যে, ৩২৮২/৯৬ দলিল দেখিয়ে ৪৭ শতক জায়গা হাবিবুর রহমান একাই বিক্রি করে দেয়। ওয়ারিশ সুত্রে মালিকানা ১৩.৭ শতক হলেও সে আমাদের ৫ জনের অংশসহ একাই ৪১ শতক জায়গা জমি অবৈধভাবে বিক্রি করে দেয়। তা অবগত হওয়ার পরেই বাধ্য হয়ে উক্ত বেসরকারি সংস্থা এসকেএস এর বিরুদ্ধে স্বত্ব ঘোষণার একটি মামলা দায়ের করা হয়।
পিডিএসও/রানা