রাজীবুল হাসান, শ্রীপুর (গাজীপুর)
বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রী মাসুম ফোন......
‘মা আমি ভালো আছি, প্রিয়কের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না’
নেপালে বিধ্বস্ত বিমানে আক্রান্ত গাজীপুরের শ্রীপুরে মেহেদী হাসান মাসুম রাত সাড়ে আটটায় তাঁর মা মমতাজ বেগকে ফোন করে বলেন,‘মা আমি ভালো আছি, প্রিয়কের স্ত্রী এনী ও স্বর্ণা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে প্রিয়ক ও তার মেয়েকে কোথায়ও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’ বিধ্বস্ত বিমানে ৩২ বাংলাদেশীর মধ্যে গাজীপুরের শ্রীপুরের যাত্রী ছিলেন দুই দম্পাতি ও তিন বছরের এক শিশু। এদের মধ্যে ছিল- আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ফটোগ্রাফার এফ এইচ প্রিয়ক (৩২),তার স্ত্রী এনী প্রিয়ক (২৬),শিশু সন্তান তামাররা প্রিয়ক(৩)। প্রিয়ক উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের মৃত শরাফত আলীর একমাত্র পুত্র। প্রিয়কের মামাতো ভাই মেহেদী হাসান মাসুম(৩০),মাসুমের স্ত্রী সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা(২৫)।
নেপালে অবস্থানরত আশিক রেজা নামে এক বাংলাদেশী নাগরিক হাসপাতেল গিয়ে শ্রীপুরের ৫ জনের মধ্যে তিনজনের চিকিৎসাধীন থাকার বিষয়টি প্রতিদিনের সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন।
প্রিয়কের চাচাতো ভাই লুৎফর রহমান ও মামা তোফাজ্জল হোসেন জানান, সোমবার ৬ দিনের ভ্রমণে নেপালে রওনা হন তারা। গত বছর থেকেই দুই পরিবার মার্চে নেপাল ভ্রমণের পরিকল্পনা করে। সোমবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ প্রিয়কের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার মা ফিরোজা বেগম আহাজারি করছেন। একমাত্র সন্তানের কথা বলে বলে বারবার সংজ্ঞাহীন হয়ে পরছেন।‘আমার একটা ছেলে,একটা নাতি,একটা পুলা,আল্লাহ গো আমার পুলারে জানড্যা ভিক্ষা দেও।’
পিডিএসও/রানা