স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহার
স্যানিটারি ন্যাপকিনের কাঁচামাল আমদানির ওপর থেকে আরোপিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত রোববার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে গতকাল সোমবার জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এ বছর স্যানিটারি ন্যাপকিন-প্যাডে নতুন করে ভ্যাট আরোপ হচ্ছে না। আগের ১৫ শতাংশ ভ্যাটই বহাল থাকছে।
নতুন অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেটে স্যানিটারি ন্যাপকিনের কাঁচামাল আমদানিতে ৪০ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছিল সরকার। প্যাড তৈরির কাঁচামালের ওপর আরও রয়েছে কাস্টমস ডিউটি, অগ্রিম আয়কর, রেগুলেটরি ডিউটি। এসব কারণে স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম পড়ে ১২০-১৬০ টাকা, যা সচ্ছল পরিবারের কাছে স্বাভাবিক হলেও অসচ্ছল পরিবারের কাছে বেশ কষ্টকর।
স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর থেকে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় প্রতিবাদ। আন্দোলনকারীরা বলছেন, ভ্যাট মওকুফ করলে প্রতি প্যাকেট স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম ৪০-৪৫ শতাংশ কমানো সম্ভব।
তারা বলছেন, এটি নারীদের অতি প্রয়োজনীয় পণ্য হলেও এটাকে বিলাসী পণ্য ধরে ‘পিংক ট্যাক্স’ আরোপ করা হয়েছে। এটাকে আমাদের সমাজে বিলাসদ্রব্য মনে করা হচ্ছে।
অবশেষে সরকার নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত জানালো। অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। বহাল থাকছে আগের ১৫ শতাংশই।
পিডিএসও/তাজ