নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

১৭ মার্চ থেকে ডাকঘর সঞ্চয়ে মুনাফা ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ

করতে চাই এক রকম প্রচার আরেক : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের আইন করতে যাচ্ছি। তবে আমরা করতে চাই এক রকম; প্রচার অন্যরকম। এতে মানুষের মাঝে দুশ্চিন্তা বাড়ে, জনগণ হতাশাগ্রস্ত হন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তা ছাড়া অটোমেশনের শর্তে ১৭ মার্চের মধ্যে ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার আগের মতো ১১ দশমিক ২৮-এ আবার ফিরে যাবে। এ সিদ্ধান্ত প্রথম পর্যায়ে জেলাতে, এরপর উপজেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন হবে বলে জানান তিনি।

গতকাল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

খেলাপি ঋণ আদায়ে কোনো করপোরেশন করা হচ্ছে কি নাÑ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা করব বলে বাজেটে বলা হয়েছে। বাজেটে যেসব আইন করব বলেছি, সে আইনগুলো করা হবে। কিন্তু আমরা এক রকম বলি, আপনারা আরেক রকম বলেন, এতে করে মানুষের মাঝে দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় এবং আমার মনে হয় তারা অনেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে যান।

গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার মনে হয়, আমাদের আরো চিন্তা করে সুচিন্তিত মতামতগুলো প্রচার করা উচিত। কারণ, আপনারা যা প্রকাশ করেন, সেগুলো জনগণের কাছে চলে যাচ্ছে। জনগণ যদি সঠিক তথ্য না জানেন, সেটা সরকারের জন্য সমস্যা, দেশের মানুষের জন্য সমস্যা বলে জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বলে দেওয়া হলো ব্যাংক কমিশন গঠন করা হয়ে গেছে। কমিশনের চেয়ারম্যানের নামও বলে দেওয়া হলো, এগুলো তো ঠিক নয়। এভাবে একটার পর একটা জটিলতা চলছে। ব্যাংক কমিশন করব, অবশ্যই করব। তবে কবে করবÑ সময় লাগবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাজেটে বলেছি, এমন কিছু করব না যাতে কারো ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। আমি এ-ও বলেছিলাম, যদি সম্ভব হয় ট্যাক্সের আওতা বাড়াব কিন্তু ট্যাক্সের হারটা কমাব। যদি হার কমাতে না পারি তাহলে বাড়ানো হবে না।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা কি ন্যায়বিচার চান? আইনকানুন থাকুকÑ এটা চান তো? দীর্ঘদিন থেকে যেখানে যেখানে আমাদের সমস্য হচ্ছিল, আস্তে আস্তে আমরা এ থেকে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছি। দেশের অর্থনীতি যতটা বড় হয়েছে, এখন আমাদের পেছনে তাকানোর সময় নেই। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি করব। তার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডিদের মতামত নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ব্যাংকিং খাতে লুটপাটের প্রতিবাদে বাম দলগুলো আজকে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকে বামদল যাবে, বামদলের তো টাকা-পয়সার দারকার নেই। কী মুশকিল! ওরা ওখানে যাবে কেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সঞ্চয়পত্রের অর্ধেক আমরা অটোমেশন করে ফেলেছি। সঞ্চয়পত্র ব্যাংক ও পোস্ট অফিস থেকে পাওয়া যায়। ব্যাংকের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে পুরোটাই অটোমেশন হয়েছে। অপব্যবহার রোধ করতেই অটোমেশন করা হয়েছে। অটোমেশন করা না হলে এ স্কিমটা যাদের জন্য করা হয়েছিল, তারা পাচ্ছিল না। যাদের পাওয়ার কথা ছিল না, তারা এ সুবিধা নিয়ে নিচ্ছিল। এতে আমাদের উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছিল না বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে লিমিট বাড়ানো হয়েছে। পেনশনারদের আরো বেশি করা হয়েছে। এখন যে সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, আমার মনে হয় না কারো এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন আছে। ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমে বিনিয়োগ সীমাও রয়েছে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত। যারা গ্রামের মানুষ, শহরে আসতে পারে না, তাদের জন্য এটা যথেষ্ট। সেখানে সুদের হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ রাখা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close