দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ৯৪টি পানি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ৫৭টি পয়েন্টের পানি বৃদ্ধি ও ২৯টির হ্রাস পেয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪টি পানি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী সবকটি প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নদ-নদীর পরিস্থিতি সম্পর্কে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাঁচটি পয়েন্টে পানি সমতল অপরিবর্তিত রয়েছে এবং তিনটি পয়েন্টের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে, সুরমা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে এবং অন্য সব প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল স্থীতিশীল থাকতে পারে। গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত গাইবান্ধা স্টেশন এলাকায় ১৭০ মিলিমিটার, দিনাজপুরে ১১৯ মিলিমিটার, মনু রেলওয়ে ব্রিজ এলাকায় ৮৫ মিলিমিটার, জারিয়াজাঙ্গাইল এলাকায় ৬৭ মিলিমিটার, মহাদেবপুরে ৬৫ মিলিমিটার, হবিগঞ্জে ৬১ মিলিমিটার, বগুড়ায় ৫৪ মিলিমিটার এবং ময়মনসিংহ এলাকায় ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

"