নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০২ জুন, ২০১৯

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অধ্যাপক, নাট্যকার মমতাজউদদীন

ভালো নেই প্রখ্যাত নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ। তিনি রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী জানান, মমতাজউদদীন আহমদের চিকিৎসক ছেলে সেজান মাহমুদ তিতাস যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছেন। তার কাছে স্যারের পরিস্থিতি জানতে চেয়েছিলাম। তিতাস জানিয়েছেন মোটেও বিপদমুক্ত নন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। শরীর অক্সিজেন পাচ্ছে না। কার্বন ডাইঅক্সাইড বেরিয়ে যাচ্ছে। মস্তিষ্কে পানি জমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে অলৌকিক কিছু না ঘটলে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার বেশি রোগীকে টিকিয়ে রাখা যায় না।

বেশ কয়েক দিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা তাকে আইসিইউতে রাখার পরামর্শ দেন। এর আগে তিনি একাধিকবার লাইফ সাপোর্ট থেকে ফিরে এসেছিলেন।

অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ১৯৯৭ সালে নাট্যকার হিসেবে একুশে পদকে ভূষিত হন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে খ-কালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি কলেজে ৩২ বছর বাংলা ভাষা সাহিত্য এবং বাংলা ও ইউরোপীয় নাট্য বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৭৬-৭৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৭-৮০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close