যশোরের মনিরামপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শিমুল হোসেন (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার রাতে উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের সরসকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ গ্রামের পাকা সড়কের অদূরে একটি পরিত্যক্ত খেত থেকে লাশ উদ্ধার করে।

শিমুল হোসেন সরসকাঠি গ্রামের রফিকুল ইসলাম রফিকের ছেলে। স্থানীয় কাশিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। শিমুলের বাবা রফিকুল ইসলাম গাজীপুরে আনসার-ব্যাটালিয়ন সদস্য হিসেবে কর্মরত। মা পলি বেগম জানান, সোমবার সারা দিন কাশিমপুর হাই স্কুল মাঠে শিমুল বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করেছিল। সন্ধ্যার পর বাড়ি এসে সে ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছিল। রাত ৯টার দিকে শিমুলের নম্বরে একটা কল এলে সে র‌্যাকেট (ব্যাডমিন্টন) হাতে নিয়ে খেলতে বেরিয়ে যায়। রাতে আর সে বাড়ি ফেরেনি। সকালে উঠে বাড়ির পাশে একটি খেতে ছেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পলি বেগম আরো বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে কারো শত্রুতা নেই। আমার স্বামী বাড়ি না থাকায় ছেলেটা আমার কথা শুনতে চাইত না। প্রতিদিন রাতে ছেলেটা ব্যাডমিন্টন খেলতে যেত।’ মনিরামপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান বলেন, এখনো হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বন্ধুবান্ধবকেন্দ্রিক বা পারিবারিক কোনো কোন্দলে এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটতে পারে। দ্রুতই এ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করা যাবে বলে আশা করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। লাশের পেট, পিঠ, বাম হাত, মুখ ও গলায় ১৩টি কোপের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ লাশের পরনের প্যান্টের পকেট থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, ব্লুটুথ ও তার খেলার র‌্যাকেটটি উদ্ধার করেছে।

"