পটিয়া-কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ০২ নভেম্বর, ২০১৮

অবশেষে সেই ১১ ওয়ার্ড যুক্ত হলো কর্ণফুলী থানায়

অবশেষে ১৮ বছর পর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা দুইটি ইউনিয়নের ১১টি ওয়ার্ড চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) আওতাধীন কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এত দিন এসব ওয়ার্ড চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের আওতাধীন পটিয়া থানা পুলিশের অধীনে ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএমপির কর্ণফুলী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহেদুল ইসলাম, কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ, পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম মজুমদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম নিশি, বড়উঠান ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, শিকলবাহা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি শহীদ উল্লাহ প্রমুখ।

কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ বলেন, এখন পুলিশের পক্ষ থেকে আরো দ্রুত ও ভালো সেবা দেয়া সম্ভব হবে। ওই ১১ ওয়ার্ডের যেকোনো স্থানে ঘটনা ঘটলে ১০ মিনিটের মধ্যে কর্ণফুলী থানা পুলিশ হাজির হবে। যা দূরত্বের কারণে পটিয়া থানার পক্ষে সম্ভব হতো না।

কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক চৌধুরী বলেন, আজ মনে হচ্ছে আমরা আবার নতুন করে স্বাধীন হলাম। কর্ণফুলী উপজেলা ও থানার আয়তন একই করার মাধ্যমে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জানা যায়, ২০০০ সালের ২৭ মে বন্দর ও পটিয়া থানা ভেঙে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অধীনে কর্ণফুলী থানা গঠন করা হয়। গত ১৮ বছর কর্ণফুলীর শিকলবাহা ও বড়উঠান ইউনিয়নের ১১ ওয়ার্ড পটিয়া থানার আওতাধীন ছিল।

পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে সেবা নিতে গিয়ে এ কারণে ওই ১১ ওয়ার্ডের বাসিন্দাসহ উপজেলাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রতিদিনের সংবাদে ‘দেড় যুগেও ঠিক হয়নি কর্ণফুলী থানার সীমানা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close