নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ইংরেজি ও বাংলায় প্রাথমিকের ২০ ভাগ শিক্ষার্থী দুর্বল

প্রাথমিকের ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজি ও বাংলায় দুর্বল। তারা নিজের নাম-ঠিকানাও লিখতে পারে না। শতভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে ‘ফোরটি’ ও ‘ফোরটিন’ এর পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে না বলে জানা যায়। গতকাল শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে আয়োজিত কর্মশালায় এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় অতিরিক্ত সচিব গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. এ এফ এম মুনজুর কাদির, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক জেলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত সচিব গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা মানসম্মত শিক্ষার কথা বললেও বাস্তবে তার বিপরীত হচ্ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন জেলার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ওপর নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। তাতে দেখা যায়, ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজি ও বাংলায় নিজের নাম ও ঠিকানা লিখতে পারে না। শতভাগ শিক্ষার্থী ফোরটি ও ফোরটিনের পার্থক্য নির্ণয় করতে পারেনি। এই যদি হয় অবস্থা তবে শিক্ষকদের অবস্থা কেমন- এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষাকে যদি মানসম্মত করা সম্ভব না হয় তবে এ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব হবে না।’

প্রাথমিকের কারিকুলাম দেখে শিক্ষকরা ভয় পাচ্ছেন, তবে শিক্ষার্থীদের অবস্থা কী হবে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা কারিকুলাম বোঝে না, কারিকুলাম দিয়ে কি হয় তাও তারা জানতে চায় না। গল্পের ছলে দেখে দেখে তারা শিখতে চায়। যেভাবে তারা শিখতে চায় সেভাবেই শিখানোর আহ্বান জানান তিনি।

কর্মশালার সভাপতি ডিপিইর মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, পাঠ্যপুস্তকের কারিকুলাম একটি পরিবর্তনশীল বিষয়। নির্ধারিত সময় পর তা পরিবর্তনও করা হয়। তাই কারিকুলাম নিয়ে যেসব অভিযোগ রয়েছে তা বিবেচনা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close