আইয়ুব হোসেন খান, মাগুরা

  ১৫ জুলাই, ২০২০

কাঁধিতে বুক বেঁধে আছেন মাগুরার কলাচাষিরা

মাগুরায় এ বছর ৩৫ কোটি টাকার কলার ফলন আশা করছেন চার উপজেলার চাষিরা। শুধু আবহাওয়া অনুকূলে থাকাটাই শর্ত। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে জেলার কলা গাছের ব্যাপক ক্ষতি হলেও, টিকে থাকা বাগানে ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে লাভবান হবেন এমনটাই আশা। তাই কলার কাঁধির ওপর বুক বেঁধে আছেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্র মতে, এবার চারটি উপজেলায় সর্বমোট ৭৫০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে মাগুরা সদরে ৩৮৫ হেক্টর জমি, শ্রীপুরে ২৯৫ হেক্টর, মোহাম্মদপুরে ৪০ হেক্টর ও শালিখা উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ করা হয়েছে। জেলার কমলাপুর গ্রামের কলাচাষি রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা হয় এ নিয়ে।

তিনি জানান, এবার ৩৩ শতাংশ জমিতে কলা চাষ করেছেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই কলা ধরবে। প্রতি শতাংশ জমিতে ৭টি করে ৩৩ শতাংশ জমিতে মোট ২৩১টি গাছ লাগিয়েছে। প্রতিটি গাছে ৮০ টাকা হিসেবে ১ বিঘা জমিতে মোট খরচ হয়েছে ১৯ হাজার টাকা। সবকিছু ঠিক থাকলে, প্রতি কাঁধি কলা গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হিসেবে ৪৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি হবে। একই ধরনের কথা বলেন সদরের আঠারোখাদা গ্রামের কৃষক একেন আলী।

গোপালগঞ্জের শেখ সায়রা খাতুন মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার তপন কুমার রায়। কলার গুণ সম্পর্কে প্রতিদিনের সংবাদকে তিনি বলেন, কলায় থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন-বি ৬, অ্যামিনো এসিড। প্রতি ১০০ গ্রাম কলায় ১১৬ ক্যালোরি ক্যালসিয়াম, ৮৫ মিলিগ্রাম আয়রন আছে। এছাড়া মিলবে ফসফরাস, পানি, খনিজ লবণ ও শর্করা। যে কারণে একজন মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন দুটি করে কলা খাওয়া প্রয়োজন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফদতরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন। কলার চাষাবাদ সম্পর্কে প্রতিদিনের সংবাদকে তিনি জানান, বর্তমানে কলা চাষে লাভ বেশি হওয়ায় জেলার চাষিরা কলা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। এ অঞ্চলের মাটি এবং আবহাওয়া দুটোই কলা চাষের জন্য উপযুক্ত। শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে এ বছর কলার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শসহ সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close