ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক নারীকে (৪০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ শহীদ নামের ধর্ষকের এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল শুক্রবার তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার বাসিন্দা ওই নারী ঢাকায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়ায় টঙ্গীতে মেয়ের বাড়িতে অবস্থান শেষে স্বামীর বাড়িতে ফিরছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। বাড়ি ফেরার পথে নারীটিকে সহযোগিতা করছিলেন শরীফ নামের এক যুবক।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার কিছু পর ওই নারীটি ঈশ্বরগঞ্জের লক্ষ্মীগঞ্জ নামক স্থানে এসে পৌঁছান। কোনো যান না পেয়ে হেঁটে

যেতে শুরু করলে লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার থেকে কিশোরগঞ্জের দিকে যাওয়ার পথে কিছুদূর এগোতেই কয়েকজন ব্যক্তি তাদের গতিরোধ করে। নারীটিকে টেনে হিঁচড়ে পাশের একটি জঙ্গলে নেয়। সেখানে নিয়ে সুজন মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তি ধর্ষণ করে। সুজন স্থানীয় কুমুড়িয়ারচর গ্রামের ছমেদ আলীর ছেলে। ওই সময় তাকে সহযোগিতা করে

মোজাটিয়া গ্রামের শফিক মিয়া, শহীদ মিয়া ও মল্লিকপুর গ্রামের লাল মিয়া। ধর্ষণ শেষে নারীর সঙ্গে থাকা প্রায় ৯ হাজার

টাকাও ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। ওই অবস্থায় নারীটি লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে এসে স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ খবর পান। তিনি থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে জড়িত এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

"