সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি

  ১৫ জুন, ২০১৯

সুজানগরে চীনাবাদামের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

পাবনার সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন চীনাবাদাম। এ বছর চীনাবাদামের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে চীনাবাদাম রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু কৃষকেরা এর চেয়েও বেশি পরিমাণ জমিতে চীনাবাদামের আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চীনাবাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে।

সুজানগর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি চীনাবাদাম চাষাবাদ হয়ে থাকে ভায়না, সাতবাড়িয়া, মানিকহাট, নাজিরগঞ্জ ও সাগরকান্দি ইউনিয়নের পদ্মার চরাঞ্চল এলাকাগুলোতে। উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল কাদের জানান, অন্য বছর যেখানে এক বিঘা জমিতে সাত থেকে আট মণ চীনাবাদাম পেতাম সেখানে এবার ৯ থেকে ১০ মণ বাদাম ঘরে তুলতে পারছি।

উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের বুলচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক গোলাম মওলা বলেন, বর্তমানে ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা মণ দরে বাদাম বিক্রি হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও কিছু লাভ হবে। সুজানগর পৌরসভার চরসুজানগর গ্রামের কৃষক আবেদ আলী জানান, চর থেকে চীনাবাদামসহ অন্য ফসল আনতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। তাই তিনি পদ্মার শাখা নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।

মানিকহাট ইউপি চেয়ারম্যান এ এস এম আমিনুল ইসলাম জানান, এ বছর অন্যান্য ফসলের তুলনায় চীনাবাদামের ফলনটা খুব ভালো হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ময়নুল হক সরকার বলেন, উপজেলায় এ বছর চীনাবাদাম উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে কারণ আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। পাশাপাশি কৃষকদের মাঝে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হয়। আগামীতে সরকার থেকে মাঠপর্যায়ের কৃষকদের মাঝে চীনাবাদামের বীজ প্রদান করলে তা কৃষি অফিসের মাধ্যমে চীনাবাদাম উৎপাদনকারী কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে। সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, চরভবানীপুর ও চরসুজানগরসহ অন্য ইউনিয়নের কৃষকেরা যাতে সহজেই যানবাহনে করে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য চরাঞ্চল থেকে নিজ বাড়িতে আনতে পারে সে লক্ষে এরই মধ্যে সরকার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অতি দ্রতই এর নির্মাণকাজ শুরু হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close