নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

  ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

সেতু নির্মাণের দেড় বছরেও তৈরি হয়নি সংযোগ সড়ক

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সেতু নির্মাণের দেড় বছর অতিবাহিত হলেও দুপাশে সংযোগ সড়ক তৈরি করা হয়নি। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছে উপজেলার ৭ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। উপজেলা সদরে আসতে মরনফাঁদ অতিক্রম করতে হচ্ছে উপজেলা সদর ইউনিয়নের আলোকদিয়া, আন্দিবাড়ি, পানান, পাইশানা ও ভাদ্রা ইউনিয়নের কোদালিয়া ,সিংদাইর, খাগুরিয়াসহ আশে পাশের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা।

এলাকাবাসী জানান, আশেপাশের প্রায় ৭ টি গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরে আসার জন্য দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের নাগরপুর উপজেলার ভালকুটিয়া পাকার মাথা থেকে একটি পাকা রাস্তা ও নোয়াই নদীর উপর একটি ব্রিজ। নোয়াই নদীর উপর ব্রিজ নির্মিত হলেও দূর্ভোগ কমেনি এলাকাবাসীর। সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় তাদের ভোগান্তি চরম আকার ধারন করেছে। ব্রিজটি নির্মিত হলেও এর যতার্থ ব্যবহার করতে পারছে না এলাকার বাসিন্দারা। তার উপর তাদের ব্রিজের পাশ দিয়ে পায়ে হাটার রাস্তাটিও বর্ষা মৌসুমে ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকে।

উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভালকুটিয়া থেকে আলোকদিয়া যাওয়ার পথে নোয়াই নদীর উপর ৭২.৬ মিটার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মের্সাস দাস ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১ বছর পর ২০১৭ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করে। ব্রিজ নির্মাণের পর এর দুপাশে ২০০ মিটার করে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। চলাচলের বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় ব্রিজের নিচ দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী চন্দনা আক্তার জানান, আগে ব্রিজ ছিল না তখন যেভাবে নৌকায় ও কাপড় ভিজিয়ে রাস্তা পাড় হয়েছি ব্রিজ নির্মাণের পরও একই অবস্থা। আলোকদিয়া গ্রামের আলম শিকদার জানান, আ.লীগ সরকার উন্নয়ন করছে অনেক কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম, অবহেলা এবং সরকারী কর্মকর্তাদের উদাসীনতা বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করছে।

নাগরপুর সদর ইউপি’র ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলম হোসেন জানান, ব্রিজ নির্মিত হলেও এর কোন সুফল আমরা পাচ্ছি না। রাস্তা না থাকায় রোগী, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের যাতায়াত দুরহ হয়ে পড়েছে। মাটি ভরাটের কাজ নিয়ে এলাকাবাসী ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জটিলতা বাধে। তারা অন্যেও জমিতে বাংলা ড্রেজার লাগিয়ে বালু তুলতে গেলে জমির মালিক বাধা দেয়। এরপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাটি ভরাট না করেই চলে যায়।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহীনুর আলম জানান, মামলা জটিলতার কারনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি। আমরা নতুন করে মাটি ভরাটের জন্য টেন্ডার আহবান করবো। আর পাকা রাস্তা থেকে ব্রিজ পর্যন্ত একটি রাস্তার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলে তিনি জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close