জাকারিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ

  ১৯ অক্টোবর, ২০১৮

হবিগঞ্জে কুশিয়ারার ভাঙনের মুখে শতাধিক পরিবার

কুশিয়ারার ভাঙনের মুখে হুমকিতে আছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ এলাকাবাসী। প্রতিদিন এই নদীর ভাঙনের কবলে পড়ছে বহু ঘর-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি। এতে করে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন নদী পাড়ের শত শত পরিবার। এ ছাড়াও দুই সপ্তাহ আগে ঘুর্ণিঝড় তিতলি প্রভাবিত বৃষ্টিপাতে আবারও আতঙ্কের কারণ হয়েছে কুশিয়ারা। নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে একটি ঐতিহ্যবাহী বাড়িসহ বহু ফসলি জমি। সাধারণ ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নদী ভাঙন থেকে সাধারণ মানুষদের রক্ষায় তেমন কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবগত করলেও কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই। উপজেলার দীঘলবাক, আহমদপুর, কুমারকাদা, গালিমপুর, মাধবপুর, ফাদুল্লা, মথুরাপুর, জগন্নাথপুর উপজেলার আটঘর, নোয়াগাঁও, রানীগঞ্জ, বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কুশিয়ারা নদীটি। আর এতে করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ওইসব গ্রামের সাধারণ মানুষ। ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যদি এ বিষয়ে যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তা হলে তাদের এমন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো না। বহু ঘর-বাড়িসহ ফসলি জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যেত না। স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ ছোটন মিয়া বলেন, দীঘলবাক একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। ইউনিয়ন পরিষদের নামও এই গ্রামের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। কিন্তু এই গ্রাম আজ বিলীন হওয়ার পথে। নদী ভাঙনের ফলে বেকারত্ব, দারিদ্র্যতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। দ্রুত নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, পাউবোসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে বারবার আবেদন করেও কোনো ফল পাচ্ছে না। একই কথা বলেন, রাসেল মিয়া নামে আরেক ব্যক্তি। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতাও পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে একদিন হয়তো বহু পরিবার ও গ্রামের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যাবে না। তাই দ্রুত যেন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তার জন্য দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদ-বিন-হাসান বলেন, কুশিয়ারা নদীর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close