মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ০৮ আগস্ট, ২০১৮

নির্মাণের ৩ বছর পরও কাজে আসছে না ব্রিজটি

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উপজেলা সড়ক সংলগ্ন চরখালী সড়কের ব্রিজটি নির্মাণের তিন বছর পরও কোনো উপকারে আসছে না জনগণের।

ব্রিজটির দুই পাশে মাটি না থাকা এবং সড়ক থেকে ৭-৮ ফুট উঁচুতে ব্রিজটি হওয়ায় শুকনো কিংবা বর্ষা মৌসুমেও কোনো সুফল পায় না এলাকাবাসী। ফলে প্রায় পাঁচ গ্রামের জনসাধারণের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এ ব্রিজটি।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা সড়ক সংলগ্ন চরখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বেড়েরধন নদী (চত্রা প্রাইমারি স্কুল) সড়কের মরহুম আবদুল আজিজ হাওলাদারের বাড়ি সামনে প্যাদার হোতা খালের ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৬ সালে ২০ জুন ব্রিজটি নির্মাণে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৯ টাকা ব্যয় ৯.১৫ মিটার কার্যাদেশ পায় পটুয়াখালীর মেসার্স সোমা এন্টারপ্রাইজ। ব্রিজটি নির্মাণের মেয়াদ শেষ হলে মাটির কাজ না করেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বিল তুলে নেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণ।

চরখালী সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবদুল মালেক বলেন, এ এলাকার জনগণ উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। এ ছাড়া প্রতিদিন এ সড়ক ধরে বিভিন্ন এলাকার মানুষসহ স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে। শুকনো মৌসুমে বিকল্প রাস্তায় চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি হয় দ্বিগুণ। এলাকাটি কৃষি নির্ভর হওয়ায় এখানে ব্যাপক কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়। ব্যবসায়ীরা উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে যেমন অসুবিধা হয়, তেমনি কৃষি মালামাল বহনেও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়। এমনকি ব্রিজটি হেঁটে উঠেও চলাচল করা যায় না। ব্রিজটি নির্মাণের সময়ে ঠিকাদার উপজেলা এলজিইডি বিভাগকে ম্যানেজ করে ব্রিজটি সিডিউল মতো না করে সড়কের ওপরে ৭-৮ ফুট উঁচুতে নির্মাণ করায় এ ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। এ নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার তাগিদ দেওয়া হলেও কোনো সুফল পাচ্ছে না তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন বলেন, সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের বিষয়ে ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি। ব্রিজের দুই পাশে মাটি দেওয়ার প্রজেক্ট ডানিডায় দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তা করা হয়নি। তবে যত দ্রুত সম্ভব ব্রিজটির দুই পাশে মাটি ভরাট করে পথচারীদের চলাচলের জন্য উপযুক্ত করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close