নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ আগস্ট, ২০১৭

তেজগাঁও-মহাখালীর রাস্তা

খানাখন্দ নয়, যেন পুকুর!

কার্পেটিং, ইট, বালু ও খোয়া উঠে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা থেকে মহাখালীর সড়ক। কোথাও কোথাও খানাখন্দে পানি জমে আছে—যেন ছোট পুকুর!। বেহাল এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। এজন্য এই সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এই সড়কটি ঠিক কবে শেষ মেরামত করা হয়েছিল, সেটা জানে না স্থানীয়রা। আর দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কের এখানে সেখানে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। চলতি বর্ষায় বৃষ্টিতে এসব গর্ত গাড়ির চাকার আঘাতে ভেঙে আরো বড় হয়েছে। ফলে এই সড়কে চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।

সাম্প্রতিক বৃষ্টির পর তৈরি হয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত। আর সম্প্রতি দুই পাশের ফুটপাত মেরামত কাজ শুরুর পর সেখান থেকে তোলা টালি আর ইটের টুকরো এসব গর্তে ফেলে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এতে ভোগান্তি কমেনি এতটুকু, বরং বেড়েছে ক্ষেত্রবিশেষে। মূল সড়ক সংস্কারের আগে ফুটপাত মেরামত কাজ শুরুর পর হেঁটে চলা মানুষের ভোগান্তি আরো বেড়েছে। কারণ, ফুটপাতের বদলে এখন ভাঙা সড়ক দিয়েই হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের।

ফুটপাতে খুঁড়ে রাখা মাটির স্তূপ করে রাখায় তেজগাঁও এলাকাসংলগ্ন মূল সড়কের পাশ ধরে যাচ্ছিলেন কয়েকজন পথচারী। মূল সড়কের সব লেন খালি থাকা সত্ত্বেও এ সময় পেছন থেকে একটি প্রাইভেট কার তাদের প্রায় গা ঘেঁষে চলে যায়। পরে সেই প্রাইভেট কারের চালক নাহিদ আহমেদ বলেন, ‘হঠাৎই সড়কের মাইদ্দে একটা গর্ত দেখলাম। ঐটা থেইকা বাঁচতে গাড়ি বামে চাপায় দিসি।’

এই সড়কটি যথেষ্ট চওড়া হলেও দিনভর এই সড়কে যানজট বেঁধে থাকে। এর প্রধান কারণ হাজারো গর্তের কারণে স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চলতে না পারা। সাতরাস্তা-মহাখালীর সড়কের ভাঙন ধরেছে বহু বছর ধরে। বিশেষ করে তিব্বত, নাবিস্কো ও মহাখালী বাসস্ট্যান্ডের আশপাশের পরিস্থিতি বেশি খারাপ। এরকম ঝুঁকিপূর্ণ সড়কে দুই অথবা তিন চাকার গাড়ি চালকদের বিপদটাই যেন একটু বেশি।

সাতরাস্তা থেকে মহাখালীর দিকে অথবা মহাখালি থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত চোখের দেখায় মসৃণ মনে করে গাড়ি টানতে গেই হবে বিপত্তি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাস্তার ঠিক মাঝ বরাবর হঠাৎই পড়বে ভাঙা। অথবা, স্বাভাবিক গতিতে কোনো গাড়ির আনুমানিক ১০ ফুট দূর দিয়ে চালালেও আকস্মিক এই বিপজ্জনক গর্তগুলো গাড়ির চালককে হতবুদ্ধি করে দিতে যথেষ্ট।

মোটরসাইকেল চালক আকিবুর রহমান মানিক বলেন, ‘একদিন বন্ধুকে নিয়ে মহাখালীর দিকে যাচ্ছিলাম। তেজগাঁওয়ে সিগন্যাল ছাড়ার পর ফাঁকা পেয়ে সিএনজির পেছন থেকে সামান্য গতি বাড়িয়ে আগে যাব, এমন সময় রাস্তার ঠিক মাঝে বড় একটা গর্তের মধ্যে বাইকের সামনের চাকায় প্রচণ্ড ঝাঁকি খাই। কপাল ভালো, বাইক নিয়ে পড়তে পড়তে বেঁচে গেছি। নয়তো পাশের লেনের বাস মাথার ওপরে দিয়ে যেত।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সড়কে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে বিটুমিন নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সৃষ্টি হয় ছোট-বড় গর্তের। এ ছাড়া মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি। পানি নিষ্কাশন করতে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে যাতায়াতকারীদের একটু দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে ড্রেন নির্মাণ শেষ হলে সড়ক সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে। সব হয়ে গেলে আর দুর্ভোগ থাকবে না।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
তেজগাঁও-মহাখালী সড়ক,খানাখন্দ,দুর্ভোগ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist