নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯

ঘুড়ি উৎসব ১ ফেব্রুয়ারি

জাতীয়ভাবে ঘুড়ির প্রসার এবং আধুনিক ধারার ঘুড়ি সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচিতি করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কক্সবাজারে দুই দিনব্যাপী জাতীয় ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন। ১ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ৩৫ ফুট দীর্ঘ ঘুড়ি উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং ঝু। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উৎসব আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা বেনু। তিনি জানান, পরিবেশ, সংস্কৃতি, সামাজিক সমস্যা নিয়ে আদর্শগত ভাবনা থেকে এবার জাতীয় ঘুড়ি উৎসবের আয়োজনে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, গ্রিন ভয়েজ। উৎসব উদ্বোধনের আগে কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য ঘুড়ি ফেডারেশন, বাপা ও গ্রিন ভয়েজ যৌথ উদ্যোগে চাই নির্মল সৈকত ও সমুদ্রের কক্সবাজার শিরোনামে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছে। শাহজাহান মৃধা বেনু জানান, এবারের উৎসবে উড়ানো হবে মনোলোভা সব ঘুড়ি, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে বেসাতি, ড্রাগন, ডেল্টা, বহুবিধ বক্স, মাছরাঙা, ঈগল, ডলফিন, অক্টোপাস, সাপ, ব্যাঙ, মৌচাক, কামরাঙা, গুবরে পোকা, আগুনপাখি, পেঁচা, ফিনিক্স, জেমিনি, চরকি, পালতোলা নৌকা, সাইকেল, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, কুকুর, ব্যাঙ, হাতি, ফুটবল।

উৎসবে ঘুড়ি ছাড়াও বাঙালি ঐতিহ্যের আদি উপাদান ২৫ ফুট দীর্ঘ বিরাট টেরাকোটা টেপা পুতুল, নৃত্যরত বিশাল হাওয়াই মানুষ, ভয়ঙ্কর ড্রাগন, আকর্ষণীয় চরকি, ঘুড়ি, ফানুস, বাঘ ছানার নৃত্য, এয়ারশিপের মতো অনেক রকম ডিসপ্লে আইটেমও থাকছে।

উৎসবের দুই রাতেই সৈকতের আকাশে ঝলকাবে আতশবাজি। এছাড়া প্রতিদিনই থাকছে ঘুড়ি প্রতিযোগিতা। ২ ফেব্রুয়ারি রাতে শেষ হবে জমকালো ঘুড়ি উৎসব।

বেনু জানান, ‘শিশু কিশোরদের, বিশেষভাবে সাধারণ মানুষকে ঘুড়ির প্রতি মনযোগী করা, ঘুড়ির আধুনিক ধারার সঙ্গে পরিচিত করা, আধুনিক বাজিকর ঘুড়ি নির্মাণ ও ওড়ানোর কাজে প্রশিক্ষিত করাসহ ঘুড়ির সার্বিক বিকাশ ঘটাতেই কাজ করছে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close