সাভার প্রতিনিধি

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভ অব্যাহত

৩০ কারখানায় অসন্তোষ ২০টিতে সাধারণ ছুটি

শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ায় মজুরি কাঠামোতে বৈষম্যের অভিযোগে টানা পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দিনের শুরুতেই শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে উৎপাদন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে আসলে এবং বিভিন্ন কারখানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর চালালে পুলিশ সদস্যরা তাদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

শিল্প পুলিশ, শ্রমিক কারখানা ও কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে সাভারের হেমায়েতপুর হরিণধরা এলাকার স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের দুটি কারখানার শ্রমিকরা মজুরী বৈষম্যের অভিযোগ তুলে কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় অবস্থান নেয়। এসময় বিক্ষোব্দ শ্রমিকরা পাশর্^বর্তি ডার্ড গ্রপের একটি কারখানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর চালায়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কারখানা কর্তৃপক্ষ ওই কারখানাটিতে সাধারন ছুটি ঘোষনা করলে শ্রমিকরা বের হয়ে আসে।

পরবর্তীতে আরও কিছু উত্তেজিত শ্রমিক স্থানীয় বিভিন্ন কারখানায় একইভাবে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে বাঁধা প্রদান করে। এসময় পুলিশ ও শ্রমিকদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপসহ লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

একই দাবিতে আশুলিয়ার জিরাবো, কাঠগড়া ও নরসিংহপুর এলাকার হামিম গ্রুপ, শারমিন গ্রুপ, টেক্স টাউন, এ.আর জিন্স প্রডিউসার, এফজিএস ফ্যাশন, লিলি এ্যাপারেলস, সাউদার্ন গ্রুপসহ প্রায় ত্রিশটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে বিশটি কারখানায় সাধারন ছুটি ঘোষনা করেছে কর্তৃপক্ষ।

আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার এ.আর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড কারখানার জেনারেল ম্যানেজার রওশন আলী খন্দকার বলেন, শ্রমিকরা প্রতিদিনের মতো সকালে কারখানায় প্রবেশের পর কর্মবিরতী পালন শুরু করে। একপর্যায়ে অন্য কারখানার কিছু শ্রমিক এসে আমাদের কারখানার মূল ফটকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে তাদেরকে বের করে নিয়ে যায়।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশে-১ এর পরিদর্শক মাহামুদুর রহমান বলেন, মজুরী বৈষম্যের অভিযোগ তুলে টানা পঞ্চম দিনের মতো সাভার-আশুলিয়ার প্রায় ত্রিশটি কারখানায় বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। এর মধ্যে বিশটি কারখানায় সাধারন ছুটি ঘোষনা করা হলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে গেছে। বাকী কারখানাগুলোতে এখনও শ্রমিকরা কর্মবিরর্তী পালন অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি মোতায়েনের পাশাপাশি শিল্প এলাকায় চার জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজ করছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close