ক্রীড়া ডেস্ক
হোয়াইটওয়াশের সামনে শ্রীলঙ্কা
ভারতের বিপক্ষে ব্যর্থতায় ঘুরপাক খাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম টেস্টে ৩০৪ রান এবং পরের ম্যাচে ইনিংস ও ৫৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হার মেনেছিল স্বাগতিক দল। পাল্লেকেলেতে সিরিজের শেষ টেস্টেও শ্রীলঙ্কানদের সামনে হারের আশঙ্কা। প্রথম ইনিংসের ধস দ্বিতীয় ইনিংসেও অব্যাহত থাকলে তৃতীয় দিনেই শেষ হয়ে যেতে পারে এই ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে যেভাবে গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রান তুলে খেলা পরের দিন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়াটা কঠিন। যদি না কেউ বড় ইনিংস খেলেন।
প্রথম দুই টেস্টে প্রথম ইনিংসে যে রানের পাহাড় গড়েছিল ভারত তৃতীয় টেস্টে তেমনটা হলো না। বরং দুই টেস্টে ৬০০ রানের ইনিংস খেলার পর শেষ টেস্টে ৪৮৭ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস। ভাবা হয়েছিল শ্রীলঙ্কা এবার মান বাঁচানোর লড়াইয়ে নামবে। কিন্তু তেমন কিছু হলো না। বরং আবারও ফলো-অনের মুখেই পড়তে হলো হোম টিমকে।
প্রথম ইনিংসে ৪৮৭ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। দুই ওপেনার দারুণ শুরু করে দিয়ে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিন সেটা ধরে রাখলেন হার্দিক পান্ডিয়া। দুই ওপেনারের মধ্যে শিখর ধাওয়ান প্যাভেলিয়নে ফেরেন ১২৩ বলে ১১৯ রান করে। যেখানে ছিল ১৭টি বাউন্ডারি। আর এক ওপেনার লোকেশ রাহুলের অল্পের জন্য হাতছাড়া হয় সেঞ্চুরি। ৮৫ রানে আউট হন তিনি। দুজনকেই ফেরান পুষ্পাকুমারা। এরপর ভারতীয় দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। ৩১ রানের ইনিংস খেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এর পরও বাকি ছিল চমক। আট নম্বরে নেমে দুরন্ত এক শতরান করেন হার্দিক। ১০৮ রানের ইনিংস খেললেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৫টি উইকেট নেন সান্দাকান। তিনটি উইকেট পুষ্পাকুমারার। জোড়া উইকেট নেন ফার্নান্দো। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৩৫ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। শ্রীলঙ্কার হয়ে ব্যক্তিগত রান চান্দিমালের ৪৮। ভারতের হয়ে ৪টি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। দুটি করে উইকেট মোহাম্মদ শামি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। একটি উইকেট নেন সেঞ্চুরি করা হার্দিক পান্ডিয়াও। দ্বিতীয় দিনই ফলো-অনের মুখে পড়তে হলো শ্রীলঙ্কাকে।
"