ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২০

‘শেষটা জয়ে রাঙাতে চাই’

এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের সামনে এখন হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ। আজ লাহারের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি। সিরিজ হারের কথা ভুলে শেষটা রাঙাতে চায় বাংলাদেশ। দেশে ফিরতে চায় একটি জয় সঙ্গী করে। টিম হোটেলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন শফিউল ইসলাম। পাকিস্তান সফরে অন্যদের তুলনায় মোটামুটি সফল এ পেসার জানান, ছোট ছোট কিছু ভুল পিছিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে।

‘সবাই জেতার জন্য খেলে। আমাদেরও লক্ষ্য ছিল জয়। একটা ম্যাচ আছে। ভালোভাবে যেন শেষ করতে পারি সেটাই চাই।’ ‘পাকিস্তান ভালো ক্রিকেট খেলেছে বলেই জিতেছে। আমরা বিপিএল খেলে আসছি, হয়তো ভালো খেলা সম্ভব ছিল। প্রথম ম্যাচে হয়তো ১০ রান কম হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে বাবর আজম ও হাফিজ ভালো ব্যাটিং করেছে। আসলে তারা ভালো ক্রিকেট খেলেছে বলেই তাদের পক্ষে ফলাফল গিয়েছে। তবে আমাদের আরো ভালো করার সুযোগ ছিল।’

‘সবাই চেষ্টা করেছে। দুটি দিনই ওদের পক্ষে গিয়েছে হয়তো। আমরা কিছু ভুল-ত্রুটি করেছি। ক্রিকেট খেলায় ছোট ভুলগুলোও অনেক বড় হয়ে যায়। সে কারণেই হয়তো আমরা পারিনি।’ এদিকে বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো শেষ ম্যাচের একাদশে তিনটি পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন, ‘সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। সিরিজে আমরা ২-০ তে পিছিয়ে আছি। স্কোয়াডের তিনজন এখনো খেলেনি, তারা অবশ্যই আসবে দলে। আরো কিছু বিকল্প আমরা ভেবে দেখব।’

কোচের কথা ঠিক থাকলে অভিষেক হবে বিপিএল দিয়ে জাতীয় দলে প্রথমবার জায়গা পাওয়া তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের। প্রথম দুই ম্যাচে সাইডবেঞ্চে বসে থাকা তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও পেসার রুবেল হোসেনকে দেখা যেতে পারে একাদশে। বাদ পড়তে পারেন দুই ম্যাচেই খরুচে বোলিং করা বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।

সৌম্যকে পরে নামানোর ব্যাখ্যায় ডমিঙ্গো বলেন, ‘টপ-অর্ডারে অনেক সুযোগ পেয়েছে সৌম্য। আমার মতে সে দারুণ খেলোয়াড়। কিন্তু আমরা এমন কয়েকজন খেলোয়ড়কে খুঁজছি যারা ইনিংসের শেষদিকে বল সীমানা ছাড়া করতে সক্ষম। কিন্তু বাংলাদেশ দলে এই বিগ হিটারের বড্ড অভাব। লিটন ওপেনিংয়ে অভ্যস্ত, কিন্তু সে চারে ব্যাট করছে। হয়তো পজিশন পাল্টে যাওয়ায় তার সমস্যা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সৌম্য ওপেনিং অথবা তিনে ব্যাট করে। কিন্তু আমাদের দলে অনেক ওপেনার। এজন্য দলে ভিন্ন কম্বিনেশন খুঁজতে হচ্ছে। সৌম্যর মতো ব্যাটসম্যান, যার ব্যাটিং দক্ষতা অসাধারণ, তাকে দিয়ে আমরা ইনিংসের শেষদিকে রান তোলার চেষ্টা করছি যে কি না বল মাঠের বাইরে পাঠাতে সক্ষম।’

মুশফিকুর রহিমের মতো সিনিয়র ও নিয়মিত খেলোয়াড় এবার নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণে সফর সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে তার জায়গা নেওয়ার সুযোগ দারুণ সুযোগ থাকছে বাকিদের জন্য, এমনটাই মনে করেন ডমিঙ্গো, ‘আমরা তিনজন প্রথম পছন্দের খেলোয়াড়কে পাচ্ছি না। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নতুন বল হাতে নেওয়ার পাশাপাশি আটে ব্যাট করতে পারে। আবার সাকিব ও মুশফিককেও পাচ্ছি না। ফলে নতুনরা সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু এটা এখনো কাজে দেয়নি। যদিও ফলাফল তেমন আশানুরূপ নয়, তবে আমরা সবাই অনেক কিছু শিখতে পারছি।’

দুই ম্যাচে টসে জিতে দুবারই ব্যাটিং বেছে নেওয়ার ব্যাখ্যায় ডমিঙ্গো বলেন, ‘উইকেট মোটেও সহজ ছিল না। প্রথম ম্যাচেও তা দেখেছি। তখন আমরা ১৪১ রান করলাম আর তারা এক কিংবা দুই বল হাতে রেখে জিতে গেল। আমরা সবাই জানি স্কোর ডিফেন্ড করায় পাকিস্তান অনেক এগিয়ে, বিশেষ করে তাদের ডেথ বোলিং। আমাদের ব্যাটিং লাইনআপ অনভিজ্ঞ, এজন্য আমরা শুরুতে বোর্ডে কিছু রান তুলতে চেয়েছিলাম এবং দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলাম। তবে এটা কাজে লাগেনি।’

ডমিঙ্গোর মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্য দিবালোকের মতোই স্পষ্ট এবং পাকিস্তানের পর্যায়ে পৌঁছাতে হলে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ম্যাচ ফলাফলে খুব হতাশ। আমরা ভেবেছিলাম প্রথম ম্যাচে তাদের ভালোই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলাম। এজন্যই তারা শীর্ষ দল আর আমরা নবম স্থানে। অভিজ্ঞতা আর দক্ষতার ক্ষেত্রে তাদের ধরতে হলে আমাদের আরো অনেক কাজ করতে হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close