ক্রীড়া প্রতিবেদক
এমন অনুশীলন কখনো দেখেননি ও’ডনেল!
মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির মাঠের একপাশে চলছিল খুলনা টাইগার্সের অনুশীলন। অন্যপাশে অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মাঠের ঠিক মাঝের একটি নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছে রাজশাহী রয়েলস, আরেক নেটে ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ছিল রংপুর রেঞ্জার্সের প্র্যাকটিস সেশনও। এত ছোট মাঠে এতগুলো দলের অনুশীলন দেখে বিস্মিত হয়েছেন রংপুর রেঞ্জার্স কোচ মার্ক ও’ডনেল।
কাল দিনব্যাপী অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন, সিলেট থান্ডার এবং কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সও। আয়তনে ছোট ক্রিকেট বোর্ডের একাডেমির ছোট মাঠে এতগুলো দলের অনুশীলন দেখে যেন ধাক্কাই খেলেন রংপুরের এই কিউই কোচ, ‘একই মাঠে ছয় দল একসঙ্গে নেমেছে, কিছু দর্শকও আছে দেখছি। ভয় লাগছে কখন কার গায়ে গিয়ে বল লাগে। এত ছোট জায়গায় এতগুলো দল একসঙ্গে অনুশীলন করছে, আমি কখনো এরকম দেখিনি।’
অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। দিনের পর এভাবেই চলে আসছে। নিদারুণ দুঃখের হলেও এটিই বাংলাদেশ ক্রিকেটের রূঢ় বাস্তবতা। অনূর্ধ্ব-১৬ দল থেকে শুরু করে জাতীয় দলের অনুশীলনের জন্য সবেধন নীলমনি বলতে এই একটিই মাঠ।
পরিতাপের শেষ এখানেই নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটের মৌসুমেও ক্রিকেটাররাও এই মাঠেই অনুশীলন সেরে থাকেন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও অনুশীলন হয়। তবে সেটা শুধুই জাতীয় দলের ছেলে ক্রিকেটারদের জন্য বরাদ্দ। কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ বা টুর্নামেন্ট শুরু হলে অনুশীলন কার্য এখানেই হয়ে থাকে। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ একটি টেস্ট খেলুড়ে দল, ওয়ানডে ফরম্যাটে এশিয়ার উঠতি পরাশক্তি আর অর্থের দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি।
"