ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৭ এপ্রিল, ২০১৯

মারামারির পর পাল্টেছে স্টোকস!

দেড় বছর আগে ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ দেখছিলেন বেন স্টোকস। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে মাতাল হয়ে ব্রিস্টলের এক নাইটক্লাবে মারামারি করে মামলার আসামি হয়েছিলেন তিনি। বাদ পড়েছিলেন ইংল্যান্ড জাতীয় দল থেকে। এমন অঘটন ঘটিয়ে জাতীয় দলে আর ফেরা হবে কি না এমন ভাবনায় একটা সময় নির্ঘুম রাত কাটালেও ইংলিশ অলরাউন্ডারের দাবি, তার জীবনটাকেই বদলে দিয়েছে ব্রিস্টলের সেই মারামারির ঘটনা!

জাতীয় দলে তো ফিরেছেনই ঘরের মাঠের আসন্ন বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অন্যতম ভরসার নামও এখন স্টোকস। খেলছেন আইপিএলেও। দল রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে মাঠের খেলার পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন দাতব্য কাজে।

এমনি একটি দাতব্য কাজে অংশ নিতে দলের সঙ্গে জয়পুরে গিয়েছিলেন স্টোক্স। সেখানে তাকে দেখে ঘিরে ধরে একদল খুদে ভক্ত। সেই ভক্তদের মুখে ব্রিস্টল ঘটনা জড়িয়ে প্রশ্ন শুনে স্টোকস প্রথমে হয়েছেন থো, পরে হয়েছেন লজ্জিত। সেই ঘটনা মনে দাগ কেটেছে কি না এমন প্রশ্নও ছোট ছোট শিশুদের মুখ থেকে শুনতে হয়েছে তাকে!

দাগ যে কেটেছে সেটা ক্রিকইনফোর কাছে স্বীকার করেছেন স্টোকস। একান্ত এক সাক্ষাৎকারে ইংলিশ অলরাউন্ডারের দাবি, ব্রিস্টলের সেই কাহিনি জীবনটিই বদলে দিয়েছে তার।

‘শুনতে মূর্খের কথার মতো লাগতে পারে, কে জানে সেই ব্রিস্টলের সেই ঘটনা হয়তো আমার জীবনটাকেই বদলে দিয়েছে? হয়তো আমার চিন্তা-ভাবনার ধরনটাও বদলে গেছে।’

২০১৭ সালে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের উদ্যাপন করতে এমবার্গো নাইটক্লাবে যান স্টোকস। রাত ২.৩০টার দিকে আরেক সতীর্থ অ্যালেক্স হেলসকে নিয়ে মাতাল হয়ে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করার দৃশ্য কাঁপিয়ে দেয় ক্রিকেট বিশ্বকে।

সেই ঘটনার জেরে অ্যাশেজ দল থেকে বাদ দেয়া হয় স্টোকসকে। পরে অবশ্য মামলা জিতে তবেই জাতীয় দলে জায়গা হয়েছে তার। নিজেকে বদলে যাওয়া মানুষ দাবি করে স্টোক্স বলছেন রাত ১০টার পর আর বাইরেই যান না তিনি!

‘আমি আর রাতে বাইরে যাই না। হয়তো ডিনারের জন্য মাঝে মাঝে বের হই। কিন্তু ইংল্যান্ডে থাকলে এর বাইরে মোটেও বাইরে যাওয়া হয় না আমার।’

‘আমি বন্ধু-সতীর্থদের নিয়ে উল্লাস করতে পছন্দ করি। টিম হোটেলে এমন অনুষ্ঠান হলে আমি সেটা মোটেও হাতছাড়া করি না। এ নিয়ে আমার মাঝে কোনো অনুশোচনা কাজ করে না।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close