ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৯ জানুয়ারি, ২০১৯

খুলনাকেও গুঁড়িয়ে দিল ঢাকা

মিরপুর শেরেবাংলার উইকেট বরাবরই রহস্যময়ী। এমন উইকেটে কোনো দল যখন ১৯২ রান তুলে ফেলে তখন প্রতিপক্ষ দলের আসলে কোনো কিছুই করার থাকেনি। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। ঢাকা ডায়নামাইটসের ছুড়ে দেওয়া প্রায় ২০০ রানের চাপে শেষ হয়ে গেছে খুলনা টাইটানস। বিশাল রানের জবাব দিতে নেমে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। যা লক্ষ্যমাত্রা এর অর্ধেক রানও করতে পারেনি খুলনা।

সাকিবদের জবাব দিতে নেমে কাল মাত্র ৮৭ রানে গুটিয়ে গেছে খুলনা টাইটানস। বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ হেরেছে সাত ওভার বাকি থাকতে। ঢাকা জিতেছে ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। টুর্নামেন্টে দুই ম্যাচের দুটোতেই জিতল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে দুই ম্যাচের দুটিতেই পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে খুলনা।

খুলনার ব্যাটসম্যানরা যেখানে উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি, রানের জন্য সংগ্রাম করেছেন সেখানে ঢাকার ব্যাটসম্যানরা স্বাচ্ছন্দ্যেই ব্যাট করেছেন। ইনিংসের আগা-গোড়া ঝড় তুলে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা নিজেদের সংগ্রহ পৌঁছে নিয়ে গেছে ২০০০-এর খুব কাছে। এই বড় সংগ্রহের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন হযরতউল্লাহ জাজাই। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও হেসেছে আফগান ওপেনারের ব্যাট।

জাজাই ঝড়ে শুরুর পাঁচ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৭ রান করেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। ১০ ওভার হওয়ার আগে দলীয় সংগ্রহে তিন অঙ্কে পৌঁছেছে তারা। উদ্বোধনী জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও রানের চাকা সচল ছিল ঢাকার। ৩৬ বলে ৫৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন আফগান ওপেনার। ঝলমলে এই ইনিংস খেলার পথে উদ্বোধনী জুটিতে সুনিল নারাইনের সঙ্গ পেয়েছেন জাজাই। পরে উইকেটে এসে তার সঙ্গে ঝড় তুলেছেন রনি তালুকদারও। ১৪ বলে ১৯ রান করে আউট হয়েছেন ক্যারিবীয় তারকা। ১৮ বলে ২৮ রানের কার্যকর ইনিংস খেলে রনি। দুজনের ইনিংসেই ছিল দুটি করে ছক্কা। নারাইন চার মেরেছেন একটি, রনি তিনটি। রনির সমান বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন জাজাইও। কিন্তু চারের চেয়ে ছক্কাই বেশি মেরেছেন জাজাই। হাফসেঞ্চুরির ইনিংসে পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন আফগান ওপেনার।

টপ অর্ডারের এনে দেওয়া দারুণ ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ইনিংস বড় করে ঢাকার মিডল অর্ডারের দুই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। ১৬ বলে ২৭ রানের রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন কাইরেন পোলার্ড। আন্দ্রে রাসেল বিদায় নিয়েছেন ২২ বলে ২৫ রান করে। শেষ দিকে শুভাহত হোম ১১ এবং নুরুল হাসান ৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

লক্ষ্যটা ১৯৩ রানের। স্বাভাবিকভাবেই কঠিন। এই রানের চাপেই ধসে পড়ে খুলনা টাইটানস। সাকিবদের তোপে ইনিংসের শুরু থেকেই চাপে থাকেন মাহমুদউল্লাহরা। এদিন এতটাই বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনী করেছে খুলনা যে, দলের ৮ ব্যাটসম্যান দশের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। উল্লেখযোগ্য রান করতে পেরেছেন মাত্র তিনজন। খুলনার পক্ষে ১৬ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী। দলের পক্ষে তিনিই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এ ছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ১৩ রানে আউট হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে ১৯ রানে অজেয় ছিলেন অলরাউন্ডার আরিফুল হক।

খুলনা টাইটানসকে দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার কান্ডারি সাকিব আল হাসান। ব্যাটে হাতে ‘গোল্ডেন ডাক’ পাওয়া ঢাকা অধিনায়ক পুষিয়ে দিয়েছেন বল হাতে। তুলে নিয়েছেন তিন উইকেট। ব্যাট হাতে দারুণ শুরুর পর নারাইন বল হতে শিকার করেছেন দুই উইকেট। খালি হাতে ফেরেননি শুভাগত, মোহর শেখও। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংই ঢাকার বড় জয়ে ভূমিকা রেখেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close