ক্রীড়া প্রতিবেদক, দুবাই থেকে

  ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ফেভারিট পাকিস্তানকে চমকে দিতে পারে হংকং

আরব আমিরাতের দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। এশিয়া কাপের আয়োজক হওয়া সত্ত্বেও এবার তাদের দর্শক হয়েই থাকতে হচ্ছে। স্বাগতিকদের এই দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছে পুঁচকে হংকং। ‘পুঁচকে’ বলাটা হয়তো অনুচিত। কারণ নিজ সামর্থ্যইে ‘এশিয়ার বিশ্বকাপ’ খ্যাত এশিয়া কাপের মূল মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে ১,১০৪ বর্গকিলোমিটারের দেশটি। যেখানে তারা ‘এ’ গ্রুপে খেলবে বিশ্ব ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে।

হংকং গণচীনের দুইটি বিশেষ অঞ্চলের একটি। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুনাম রয়েছে এই বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলটির। অঞ্চলটিতে ক্রিকেট খেলছে সেই ষাটের দশক থেকে। ১৯৬৯ সাল থেকে আছে আইসিসির সহযোগী দেশ হয়ে। দীর্ঘ বছর ধরে অনিয়মিতভাবে তারা ৫০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও আইসিসি কর্তৃক তা ওয়ানডে স্ট্যাটাসের মর্যাদা দেয়নি। কিন্তু এশিয়া কাপের আগে একটা মধুর সমস্যায় পড়ে আইসিসি। প্রশ্ন উঠে, এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা ম্যাচগুলো ওয়ানডের মর্যাদা পাবে কিনা। হংকংকে ওয়ানডে স্ট্যাটাস না দিলেও এশিয়া কাপের ম্যাচগুলোকে গণনা করা হবে ওয়ানডে হিসেবে।

এশিয়া কাপে অংশ নিতে বাছাইপর্ব খেলতে হয়েছে হংকংকে। কুয়ালামপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে মালয়েশিয়া, নেপাল, ওমান, সিঙ্গাপুর ও আরব আমিরাতের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে হারলেও ৩ জয় ও এক ড্র নিয়ে ফাইনালে উঠে হংকং। ফাইনালে তারা উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ডার্ক লুইস পদ্ধতিতে ২ উইকেটে এশিয়া কাপ নিশ্চিত করে। এশিয়া কাপে হংকং এর আগেও অংশ নিয়েছিল। ২০০৮ পাকিস্তান এশিয়া কাপে প্রথমবার অংশগ্রহণ করে তারা ঘরে ফিরে প্রথম রাউন্ড থেকে।

আজ দুবাইয়ে এশিয়া কাপের দ্বিতীয় দিনে শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামে হংকং। যে পাকিস্তান গত ১৩ বারের আসরে ৪ বার ফাইনাল খেলে শিরোপা জিতেছে ২ বার। আসরের অন্যতম ফেভারিটও তারা। দুবাই ও আবুধাবির পরিবেশটা বেশ পরিচিত পাকদের। অন্তর্গত ঝামেলার অনেক বছর ধরে হোম ভেন্যু হিসেবে আরব আমিরাতে খেলছে তারা। ফ্র্যাঞ্জাইজি ভিত্তিক পাকিস্তান সুপার লিগের (পিসিএল) আয়োজন হয়েছে আরব আমিরাতে। তবে পাকিস্তানকে বলা হয় আনপ্রেডিক্টেবল দল। কোচ মিকি আর্থার ও নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক দলে অভিজ্ঞদের পাশাপাশি জায়গা দিয়েছেন তরুণদের। পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক তাদের বোলিং সাইট। যারা কিনা নিজেদের দিনে যেকোন দলকে ধসিয়ে দিতে পারে মুহূর্তেই। এছাড়া ওপেনার ফখর জামান আছে দুর্দান্ত ফর্মে। এরই মধ্যে ওয়ানডেতে ২০০ রান করা ব্যাটসম্যানদের ছোট তালিকাতেও ঢুকে গেছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে সরফরাজ আহমেদ নিজেকে কঠিন সময়ে বহুবার প্রমাণ দিয়েছেন।

অন্যদিকে হংকংয়ের স্কোয়াড নিয়ে তেমন আলোচনা ছিল না বললেই চলে। তবে আরব আমিরাতকে হারানোর পর কয়েকজন ক্রিকেটার বেশ আলোচনায় এসেছেন। এদের মধ্যে অধিনায়ক আংশুমান রাথ ও নিজাকাত খান সম্প্রতি তাদের পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন। সেই সঙ্গে তাদের পাশে আছে সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার সাইমন কুকের মতো একজন কোচ।

দুই দলের লড়াইটা অসম হলেও ছাড় দিতে চাইবে না কোন দল। নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া থাকবে হংকং। ক্রিকেট ইতিহাসে ছোট দলের বিপক্ষে বড় দলের পরাজয় বহুবার দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। দেখার বিষয়, ফেভারিট ও সাবধানী পাকিস্তানের কতটুকু পরীক্ষা নিতে হংকং।

মুখোমুখি

জয় হার পরি.

পাকিস্তান ২ ০ ০

হংকং ০ ২ ০

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close