ক্রীড়া প্রতিবেদক
মোসাদ্দেকের আপত্তি ব্যাটিং পজিশন নিয়ে
ঘরোয়া ক্রিকেটে তার ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই উঠছে প্রশ্ন। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নির্বাচকরা। আপত্তি এবার স্বয়ং মোসাদ্দেক হোসেনের কণ্ঠেও। সরাসরিই জানালেন, নিজের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে ‘অবজেকশন’ আছে তার।
গত বিপিএলে ব্যাটিং অর্ডার এত নিচে ছিল যে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন কদাচিৎ। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও পাননি ব্যাটিং অর্ডারে প্রত্যাশিত ও থিতু জায়গা। তবে সমালোচনা সবচেয়ে বেশি হচ্ছে বিসিএলে ব্যাটিং অর্ডারে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড তার। ব্যাটিং গড় দুর্দান্ত। এরপরও পঞ্চম রাউন্ডে দক্ষিণাঞ্চল তাকে খেলিয়েছে দুই ইনিংসে সাত ও আট নম্বরে।
আটে নেমেও অবশ্য করেছেন অপরাজিত শতক। তবে সেটিই আরও বেশি করে প্রশ্ন জাগিয়েছে তার ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। দিন দুয়েক আগে মোসাদ্দেকের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে বেশ হতাশা জানিয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
কাল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আপত্তির কথা উঠে এল মোসাদ্দেকের কণ্ঠেও। তিনি বলেছেনম, ‘এই জায়গাতে হয়তো আমার একটু আপত্তি আছে। জাতীয় দলে যখন খেলি, সেখানে কি আছে। কারণ ওই জায়গায় যারা খেলেন, তাদের নিয়ে বলার কিছু নাই। তারা অনেক দিন থেকেই বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছু করেছে এবং এখনও করছে। কিন্তু এর মানে এই না যে ঘরোয়াতে আমি সাত নম্বর বা আট নম্বরে খেলব। এই জায়গায় আমার অবেজকশন আছে।’
মোসাদ্দেক আরো বলেছেন, ‘আমি আশা করব টিম ম্যানেজমেন্ট এটা দেখবে। আমি সরাসরি হয়তো আমি কাউকে কিছু বলতে পারব না। তবে আশা করব, নির্বাচকরা এসব খেয়াল করবেন। তাহলে আমার জন্য একটু ভালো হবে।’
প্রধান নির্বাচক অবশ্য মোসাদ্দেকের অনুরোধের আগেই বলেছেন, এটা নিয়ে দক্ষিণাঞ্চল দলের সঙ্গে কথা বলবেন তারা। ব্যাটিং অর্ডারের পাশাপাশি মোসাদ্দেক সম্প্রতি আলোচিত বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়েও। গত বছরের অনেকটা সময় চোখের সংক্রমণ নিয়ে ছিলেন মাঠের বাইরে। তার আগ সীমিত সুযোগে পারফরম্যান্স খারাপ ছিল না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এরপরও চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন। যেটা নিয়েও বিতর্ক হচ্ছে প্রবল।
ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে মন খুলে কথা বলার সুযোগ থাকলেও জাতীয় পর্যায়ের ক্ষেত্রে মনের দুয়ার বন্ধ রাখতে হয় আচরণবিধির চাপে। মনে তাই যেটিই থাকুক, মোসাদ্দেকের কণ্ঠে উঠে এলো ইতিবাচকতাই। তিনি বলেছেন, ‘চুক্তি থেকে বাদ পড়াটা যেমন হতাশাজনক কিন্তু আমি মনে করি না যে চুক্তিটাই সব কিছু। পারফরম্যান্স হয়ত ভালো ছিল না তাই বাদ পড়ছি। আর ইনজুরির কারণে যদি ম্যাচই না খেলি, কিভাবে চিন্তা করব যে চুক্তিতে থাকি। আমার চিন্তা হচ্ছে ভালো পারফর্ম করে আবার জায়গা ফিরে পাওয়া।’
মোসাদ্দেক আরো বলেছেন, ‘আগের ছয় মাসে (চোখের সংক্রমণের আগে) যদি দেখেন, কোন ঘাটতি ছিল না। পরের ছয় মাসে আমি কোনো কিছু করিনি। ডাক্তারের বারণ ছিল অনেক কিছু। এরপর মানিয়ে নিতে সময় লাগবে, এটা স্বাভাবিক। এর মাঝেও খেলেছি বিপিএল। সব মিলিয়ে আমি নিজেও বুঝতে পারিনি কি হচ্ছে আমার সঙ্গে। সামনে যদি জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকি, স্কিলের সঙ্গে ফিটনেস নিয়েও কাজ করব। যে বিরতি পড়েছে, সেটা পূরণ করব।’
"