ক্রীড়া প্রতিবেদক
ঘুরে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার
ইনজুরির কারণে টেস্ট সিরিজ খেলতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ইনজুরি তাকে দর্শক বানিয়ে রেখেছে কুড়ি ওভারের সিরিজেও। তার পরিবর্তিত হিসেবে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যিনি স্বপ্ন দেখছেন এই সিরিজটা জয়ের। সে লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কার চেয়ে নিজেদেরই এগিয়ে রাখলেন তিনি।
অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্টে তো শ্রীলঙ্কার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগাররা। ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে সিরিজটা হেরে গেছে স্বাগতিকরা। ওই দুটো টেস্টের ক্লান্তির কথা ভেবেই টি-টোয়েন্টি দল দিয়েছেন নির্বাচকরা। লঙ্কানদের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের সিরিজে পাঁচ নতুনকে ডেকে পাঠিয়েছেন নির্বাচকরা। পরে সংখ্যাটা ছয়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
এসব তরুণকে নিয়েই আশাবাদী মাহমুদউল্লাহ। কাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘ওরা সবাই দলে জায়গা পাওয়ার দাবিদার। বিপিএলে সবাই ভালো খেলেছে। আশা করছি, এখানেও ফর্মটা ধরে রাখবে ওরা।’ অধিনায়কের কথাতেই পরিষ্কার আজ প্রথম ম্যাচে একাধিক নতুনের অভিষেক হতে যাচ্ছে।
মাহমুদউল্লাহর বিশ্বাস, তাদের জন্য দলে থিতু হওয়ার এটা একটা সুযোগ, ‘ওরা সবাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওদের জন্য ভালো সুযোগ আছে। যদি এটা কাজে লাগাতে পারে অনেক দূর যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আশা করছি সেরা ক্রিকেটটাকে খেলে তারা দলে জায়গা করে নিতে পারবে।’
এমনিতেই দলের নড়বড়ে অবস্থা। তার ওপর সাকিবের ফেরার সুখবরও আসেনি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের ইনজুরি শঙ্কা। ম্যাচের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এ দুজনের জন্য অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ দল। মাহমুদউল্লাহর উদ্বিগ্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক, ‘আজকে (বুধবার) সকালেও দেখেছেন যে, তাদের কিছুটা ইনজুরি ঝুঁকি ছিল। তার পরও কাল (আজ) পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব।’
শেষ পর্যন্ত এ যুগল খেলতে না পারলে প্রায় অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়েই মাঠে নামবেন মাহমুদউল্লাহ। এ ক্ষেত্রে নতুনদের নির্ভার রাখতে চান তিনি, ‘আমাদের দলে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ আছে। ওদের ওপর যত কম চাপ দেওয়া যায়। ওদের পারফর্ম করার সুযোগ দেব। তা ছাড়া দলে কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও আছেন। সবাই মিলে চেষ্টা করব যেন সেরাটা খেলতে পারি।’
ঘরের মাঠে দুই ফরম্যাটে দুটো সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে আগেই। টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশের এই দুঃস্মৃতির ক্ষতে প্রলেপ দিতে পারে। মাহমুদউল্লাহর বিশ্বাস, নিজেদের দক্ষতা ও পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারলে দল ভালো করতে পারবে। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বলেছেন, ‘নিজেদের উপস্থিত বুদ্ধি, দক্ষতা এবং পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারলে আমার বিশ্বাস ভালো করব। আমাদের দলের যে কজন নতুন মুখ আছে, ওদেরও ভালো করার সামর্থ্য আছে। আমার মনে হয়, ওরা সবাই মুখিয়ে আছে। এই সিরিজটি নিয়ে আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী।’
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যেমনই হোক, সিরিজটা ঘরের মাঠে বলে অধিনায়কের আত্মবিশ্বাস ঊর্ধ্বমুখী। আজ থেকে শুরু হওয়া সিরিজে নিজেদেরই এগিয়ে রাখলেন বাংলাদেশের কাপ্তান, ‘আমি সব সময় বলে আসছি এটা। ঘরের মাটিতে আমরা যার বিরুদ্ধেই খেলি, আমরা নিজেদের এগিয়ে রাখব। যদিও আমরা টেস্ট ও ওয়ানডেতে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারিনি। আমরা আশাবাদী, ঘুরে দাঁড়াতে পারব। এবং ভালো সেটা ক্রিকেট খেলেই।’
"